নভজোৎ সিংহ সিধু। ফাইল চিত্র।
অনিচ্ছাকৃত খুনের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর এক বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশ মেনে শুক্রবার পটিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণের বার্তাও দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। কিন্তু তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শুক্রবার শীর্ষ আদালতের কাছে সিধুর আত্মসমর্পণের জন্য সপ্তাহ খানেক সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই সিধুর পটিয়ালার বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। ছিলেন, পটিয়ালা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নরেন্দ্র পাল লালি, প্রাক্তন বিধায়ক সুরজিৎ সিংহ ধীমান। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তার মধ্যেই খবর আসে, সিধুর আইনজীবী আত্মসমর্পণের জন্য সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আর্জি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮-এর ২৭ ডিসেম্বর পটিয়ালার রাস্তায় গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে গুরনাম সিংহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন সিধু ও তাঁর বন্ধু রুপিন্দ্র সিংহ সান্ধু। অভিযোগ, গুরনামকে গাড়ি থেকে জোর করে টেনে বার করে মারধর করেন তাঁরা। ওই ঘটনার কয়েক দিন পরে মারা যান গুরনাম।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে ছাড়া পেয়ে গেলেও ২০০৬-এ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সিধু। হাইকোর্টের রায়ে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু, পরের বছর সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিধু।
সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮-র গোড়ায় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের সেই রায় বাতিল করে সিধুর এক হাজার টাকা জরিমানা করে। এর পর অমৃতসর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন তিনি। মন্ত্রীও হন। কিন্তু সে বছরই সুপ্রিম কোর্টে ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে গুরনামের পরিবার। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ বেঞ্চ পুনর্বিচারের নির্দেশ দেয়।
পটিয়ালা কোর্ট প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিলেও বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন সিধু। এর পরেই তিনি টুইটারে জানান, বিচারবিভাগের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করবেন।