চাঁদের মাটিতে তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। ছবি: ইসরো।
চাঁদে নতুন ‘মাইলফলক’ ছুঁয়ে ফেলল ইসরোর রোভার প্রজ্ঞান। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে সে। পার করে ফেলেছে ১০০ মিটার দূরত্ব। ইসরো রোভারের এই কীর্তির কথা টুইট করে জানিয়েছে।
শনিবার দুপুরে ইসরো টুইটে জানিয়েছে, চাঁদে ১০০ মিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে প্রজ্ঞান। আরও এগিয়ে চলেছে সে। রোভারের বর্তমান অবস্থাও দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একটি ছবিতে বোঝানো হয়েছে, শিবশক্তি পয়েন্ট থেকে কিছুটা সোজা এগিয়ে ডান দিকে বেঁকে গিয়েছে প্রজ্ঞান। তার পর বেশ কিছুটা পথ অতিক্রম করে আবার রোভারটিকে ডান দিরে ঘোরানো হয়েছে। এর পর কিছুটা এঁকেবেঁকে সোজা এগিয়েছে ছ’চাকার যন্ত্রটি। তিরচিহ্নের মাধ্যমে রোভারের গতিবিধি বুঝিয়েছে ইসরো।
প্রজ্ঞানের চাকায় এক দিকে ইসরোর লোগো এবং অন্য দিকে অশোকস্তম্ভের ছবি খোদাই করা রয়েছে। চাঁদের মাটিতে এই চাকা গড়ালেই চিহ্নগুলির ছাপ পড়ার কথা সেই মাটিতে। অর্থাৎ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যে ১০০ মিটার দূরত্ব প্রজ্ঞান অতিক্রম করেছে, সেখানে এই চিহ্ন খোদাই করা হয়ে গিয়েছে।
প্রজ্ঞানের গতি অত্যন্ত ধীর। প্রতি সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে রোভারটি। ধীর কদমে চলতে চলতেই ১০০ মিটার পেরিয়ে গিয়েছে রোভার। এই যাত্রাপথে তার সামনে বেশ কিছু প্রতিবন্ধক এসেছে। প্রথম প্রতিবন্ধক ছিল ৪০০ মিটার চওড়া একটি গর্ত। তার মুখোমুখি পৌঁছতেই ইসরো রোভারকে ফিরিয়ে নিয়েছে।
চাঁদের মাটির কম্পন পরিমাপ করেছে রোভার। তুলেছে নানা মুহূর্তের ছবি। চাঁদের মাটিতে সালফার-সহ বেশ কিছু খনিজের খোঁজও প্রজ্ঞান এনে দিয়েছে। শনিবার তার চন্দ্রবাসের দশম দিনে পা দিয়েছে রোভারটি। তার হাতে আর মাত্র চার দিন রয়েছে। তার পর চাঁদে সূর্য ডুবে যাবে। সৌরশক্তি ছাড়া রোভারটি অকেজো হয়ে পড়বে।