চাঁদের পথে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ছবি: পিটিআই।
চন্দ্রযান-৩ সফল। মহাকাশ বিজ্ঞানে বুধবার ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে ভারত। ইসরোর হাত ধরে ভারতই প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে। সেই সঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসাবে (রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পরেই) উঠে এসেছে ১৪০ কোটির এই দেশ। সাফল্য উদ্যাপনের মাঝে ইসরোর লক্ষ্য কিন্তু স্থির। এ বার তাদের পাখির চোখ ‘চন্দ্রযান-৪’।
চন্দ্রাভিযানকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে আগ্রহী ইসরো। তবে সেই পর্যায়ে আর ভারত একা নয়। অন্য এক দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগোবে ইসরো। জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা (জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি)-র সঙ্গে সে বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ভারত এবং জাপান যৌথ ভাবে ‘চন্দ্রযান-৪’ অভিযানে কাজ করবে। এই অভিযানের আসল নাম লুপেক্স (লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন)।
লুপেক্সে মূলত চাঁদের মেরুকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ চালাবে ভারত এবং জাপান। খুঁজবে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্নটির জবাব— চাঁদে কি আদৌ জল আছে?
গত কয়েক বছরে চাঁদের চারপাশে কৃত্রিম উপগ্রহ, টেলিস্কোপ এবং নানাবিধ ক্যামেরার সৌজন্যে জলের অস্তিত্ব সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। লুপেক্স সেই বহুচর্চিত জল্পনার অবসান করবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। তার ফলে আগামী দিনে চন্দ্র অভিযানের গতিপ্রকৃতিও বদলে যেতে পারে। তবে এই অভিযান সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
লুপেক্স বা ‘চন্দ্রযান-৪’ ভারত এবং জাপানের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতিও ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই অভিযান চালু করা হতে পারে।