Science News

ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন চন্দ্রিমা সাহা

এর আগে ইনসা-র সহ-সভাপতিও হয়েছিলেন চন্দ্রিমা। দিল্লির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজি’র প্রাক্তন অধিকর্তা চন্দ্রিমা এ বার ইনসা-র ৩০ সদস্যের কাউন্সিলের প্রধান হলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ১৮:৫৪
Share:

‘ইনসা’র সভাপতি চন্দ্রিমা সাহা। -ফাইল ছবি

এ দেশে বিজ্ঞানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি (ইনসা)’-র সভাপতি হলেন চন্দ্রিমা সাহা। অ্যাকাডেমির ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলাকে দেওয়া হল সর্বোচ্চ দায়িত্ব। পয়লা জানুয়ারি থেকে তিনি দায়িত্ব নেবেন।

Advertisement

এর আগে ইনসা-র সহ-সভাপতিও হয়েছিলেন চন্দ্রিমা। দিল্লির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজি’র প্রাক্তন অধিকর্তা চন্দ্রিমা এ বার ইনসা-র ৩০ সদস্যের কাউন্সিলের প্রধান হলেন।

ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটে আগ্রহ চন্দ্রিমার। যা তাঁকে এক জন প্রথম সারির মহিলা ক্রিকেটার করে তুলেছিল, জীবনের প্রথম পর্বে। পরে সেই ক্রিকেট ম্যাচেরই ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি ‘আকাশবাণী’তে। চন্দ্রিমা পিএইচডি করেন আটের দশকে, ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি’থেকে।

Advertisement

আরও পড়ুন- চন্দ্রশেখরকে ৫৫ বছর পর জিতিয়ে দিল ব্ল্যাক হোল!​

আরও পড়ুন- মহিলা বিজ্ঞানী! এখনও কাজ করা কঠিন​

তার পর অন্য পথ ধরে চন্দ্রিমার জীবনস্রোত। তিনি হয়ে ওঠেন দেশের এক জন প্রথম সারির জীববিজ্ঞানী। জীবনের একটা বড় সময়-পর্বে চন্দ্রিমার গবেষণার মূল বিষয়টাই ছিল, কোষের মৃত্যুর পথ পরিক্রমা। কী ভাবে কোন পথে কোষ ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে। অনিবার্য হয়ে ওঠে কোষের মৃত্যু। যা তিনি হাতেকলমে প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন এককোষী ও বহুকোষী জীবে। সেই এককোষী জীবটি ছিল পরজীবী। যার নাম- ‘লেইশ্‌ম্যানিয়া’। এই ‘লেইশ্‌ম্যানিয়া’ পরজীবীই কালাজ্বরের অন্যতম কারণ। আর যে বহুকোষের উপর তিনি সেই মৃত্যুর পথ পরিক্রমা লক্ষ্য করেছিলেন, তা ক্যানসার কোষ।

‘আনন্দবাজার ডিজিটাল’কে চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, দায়িত্ব নিয়েই তাঁর প্রথম কাজটি হবে, বিজ্ঞানের নামে যে বুজরুকি চলে ভারতে, তার অবসান ঘটানো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement