প্রস্তাবিত হাসপাতালের নকশা। ছবি- আইআইএসসি-র সৌজন্যে।
ভারতের বিজ্ঞান গবেষণায় দ্বিজোত্তম প্রতিষ্ঠানের একটি দিকনির্দেশক প্রকল্পের সঙ্গে জুড়ে গেল এক বাঙালি দম্পতির নাম। এই প্রথম।
১১৩ বছরের গৌরবময় ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি)’ এ বার বানাতে চলেছে একটি উন্নত মানের মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল। প্রাথমিক ভাবে ৮০০ শয্যার। ভারতে কোনও বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এমন উদ্যোগ এই প্রথম।
সেই হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে সর্বাধিক অর্থসাহায্য করলেন এক বাঙালি দম্পতি। সুস্মিতা বাগচি ও সুব্রত বাগচি। থাকেন আমেরিকায়। পরিচয়ে যাঁরা ফিলানথ্রোপিস্ট।
বাঙালি দম্পতির এই দিকনির্দেশক পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানাতে আইআইএসসি সেই হাসপাতালের নামকরণে বাঙালি দম্পতির পদবিকেই দিল অগ্রাধিকার। হাসপাতালের নাম রাখা হল ‘বাগচি-পার্থসারথি হসপিটাল’।
আইআইএসসি-র তরফে এই খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসেই গড়ে তোলা হবে ওই মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য আর এক দম্পতি রাধা এবং এনএস পার্থসারথির সঙ্গে যৌথ ভাবে বাগচি দম্পতি ৪২৫ কোটি টাকা (আমেরিকার ৬ কোটি ডলার) দিয়েছেন আইআইএসসি-কে। এই প্রকল্পে এটাই সর্বাধিক ব্যক্তিগত অর্থসাহায্য। এই অর্থসাহায্যের সমঝোতাপত্র (‘মউ’) স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে। হাসপাতাল ভবন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমদাবাদের একটি সংস্থাকে।
বেঙ্গালুরুতে মউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাঙালি দম্পতি সুস্মিতা ও সুব্রত বাগচি (বাঁ দিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয়)। সোমবার। ছবি- আইআইএসসি-র সৌজন্যে।
আইআইএসসি-র অধিকর্তা অধ্যাপক গোবিন্দন রঙ্গরাজন জানিয়েছেন, বিশ্বের সবক’টি নামজাদা শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ধাঁচেই এ বার গড়ে তোলা হচ্ছে ১১৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানকে। সেই লক্ষ্যে একই শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য আলাদা আলাদা শাখার পাশাপাশি এ বার গড়ে তোলা হবে আইআইএসসি-রই একটি পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল স্কুল। যেখান থেকে যৌথ পাঠ্যক্রমে এমডি এবং পিএইচডি করা যাবে। সঙ্গে থাকবে একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালও।
আইআইএসসি-র তরফে এও জানানো হয়েছে, এই মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে অঙ্কোলজি, কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি-সহ সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের পাশপাশি থাকবে রোবটিক সার্জারি ও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থাও।