প্রতীকী ছবি।
বছর দশেক আগে নিয়ান্ডারথাল মানবের গোটা জিন সিকোয়েন্স তৈরি করতে পেরেছিলেন জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান হিস্ট্রির বিজ্ঞানীরা। তার পর থেকে একের পর এক গবেষণায় জানা যায়, বর্তমান ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ নিয়ান্ডারথাল মানবের জিনের বিভিন্ন অংশ বহন করে চলেছেন। বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতেই নিয়ান্ডারথাল জিনের উপস্থিতি বেশি।
মনে করা হয়, নিয়ান্ডারথাল সম্পূর্ণ আলাদা এক ধরনের প্রজাতি। এমনটা নয় যে, আধুনিক মানুষ নিয়ান্ডারথাল থেকে বিবর্তিত হয়েছে। বরং আফ্রিকা থেকে আদি মানব ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করার পর নিয়ান্ডারথাল উদ্ভূত হয়। আলাদা ভাবে আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষেরাও উদ্ভূত হয়। এই দুই প্রজাতির মিলনে ইউরোপের আদি বাসিন্দার সৃষ্টি। কিন্তু এমনটা হলে আফ্রিকানদের মধ্যে নিয়ান্ডারথালের জিন থাকার কথা নয়। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তন বিশেষজ্ঞ জোসুয়া আক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, আফ্রিকানদের মধ্যেও প্রভূত পরিমাণে নিয়ান্ডারথালের জিনের দেখা মিলেছে। যদিও এর কারণ ব্যাখা এখনই সম্ভব নয়। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ পত্রিকায়।