বুড়ো হলে কেমন দেখাবে অর্জুন কপূর, বিরাট কোহালিকে, বলে দিচ্ছে এই অ্যাপ। ছবি - সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত
এক লাফে বয়সটা বেড়ে গেছে ৪০টা বছর। ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ছেয়ে গেছে বুড়ো-বুড়িতে। টাইম ওয়ার্প? মঙ্গলবার থেকে নিজের বয়স বাড়ানোর হিড়িক উঠেছে বিশ্বজুড়ে। পাক ধরা চুল, একটু মেদ বেড়ে যাওয়া চেহারায় দু-তিন দশক বাদের নিজেকে দেখতে কেমন লাগে, বুড়ো হওয়ার রহস্য জেনে নিয়ে ভার্চুয়াল আয়নায় সেই আমিকে দেখে নেওয়ার হুড়োহুড়ি।
শুধু কি আপনার বন্ধু বা পরিচিত মানুষটা? জোয়ারে গা ভাসিয়েছে হলিউড, বলিউড থেকে ক্রীড়াজগৎ। নিক জোনাস ও প্রিয়ঙ্কার দুই দেওর, অভিনেতা অর্জুন কপূর, বরুণ ধওয়ন আছেন সেই তালিকায়। এক পা বাড়িয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার, দল তথা ইংল্যান্ডের ফুটবল অধিনায়ক হ্যারি কেন-এর বয়সটাও বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনও কোনও ব্লগ নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বুড়িয়ে দিয়েছেন বলিউডের মহাতারকা, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের।
এই কারসাজি ফেসঅ্যাপ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি মোবাইল অ্যাপের। এমনিতে ফেসবুকে এমন অসংখ্য অ্যাপ আছে যা আপনার সঙ্গে কোনও সেলেবের মিল খুঁজে বের করে, কোনওটা বুড়ো বানিয়েও দেয়। কিন্তু ফেসঅ্যাপের মতো এতো নিখুঁত অন্য কোনওটাই নয়।
A post shared by Varun Dhawan (@varundvn) on
আরও পড়ুন: বাজার দখল করতে এল সুজুকির বেস্ট সেলিং স্কুটারের লিমিটেড এডিশন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে এ আপনার বয়সে এমন কল্পনার টান দিচ্ছে যে নিজেই নিজের প্রেমে পড়ে যাবেন। আর এটাই এই অ্যাপের ইউএসপি বলা চলে।
A post shared by CricShots® (@cricshotsofficial) on
বছর দুয়েক আগে একদল রুশ অ্যাপ নির্মাতা এই অ্যাপ বাজারে আনেন। ২০১৯ অ্যাপটির জনপ্রিয়তার পালে নতুন করে হাওয়ার লেগেছে। তবে শুধু বুড়ো হওয়া নয়, বয়স কমাতেও পারে এই ধন্যি অ্যাপ। পাল্টে দিতে পারে চুল-দাড়ির স্টাইল। বেজারমুখো হলেও আপনার মুখে হাসি ফোটাতে পারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চম বার্ষিকীতে শাওমি আনছে এমআই রিচার্জেবল এলইডি ল্যাম্প
ইতিমধ্যে এই অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে সারা দুনিয়া যখন এই ফেসঅ্যাপে মেতেছে, তখন ভ্রূ-ও কুঁচকোচ্ছেন কেউ কেউ। এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গেলে আপনার ফোনের ছবির অ্যকসেস একে দিতে হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার ক্যামেরায় আড়ি পাতছে না তো? কিংবা নিজেদের সার্ভারে আপনার ছবি জমিয়ে রাখছে না তো?
অবশ্য গড়পড়তা ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এতে থোড়াই কেয়ার। তারা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্পনায় নিজেকে বুড়ো সাজাতে ব্যস্ত।