দু’টি কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষে তৈরি ‘জিডব্লিউ১৯০৫২১’।—ছবি এএফপি।
প্রাচীনতম এক কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। নাম রাখা হয়েছে ‘জিডব্লিউ১৯০৫২১’। কৃষ্ণগহ্বরটির সন্ধান পেয়েছেন ‘ইউরোপিয়ান গ্র্যাভিটেশনাল অবজ়ারভেটরি’-র জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
দেড় হাজার বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন গোটা কর্মকাণ্ডে। তাদের গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক স্ট্যাভরোস কাৎসানেভাস বলেন, ‘‘ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর কী ভাবে তৈরি হয়, সে রহস্য সমাধানে হয়তো মুখ্য ভূমিকা নেবে এই আবিষ্কার।’’ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৭০০ কোটি বছর আগে যখন এই কৃষ্ণগহ্বরটির জন্ম হয়েছিল, তখন ব্যাপক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছিল। দু’টি কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষে ওই তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল। কৃষ্ণগহ্বর দু’টি জুড়ে গিয়ে ‘জিডব্লিউ১৯০৫২১’-র জন্ম হয়। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আর এক বিজ্ঞানী মাইকেলা বলেন, ‘‘বিগ ব্যাং-এর পরে এত শক্তিশালী মহাজাগতিক বিস্ফোরণের ঘটনা জানা নেই।’’
তবে কৃষ্ণগহ্বরটির আসল বিশেষত্ব হল এর বিশালাকার। বলা ভাল, এমন বিশালাকৃতি কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল এই প্রথম। বৈজ্ঞানিক ভাষায় যাকে বলে ‘ইন্টারমিডিয়েট মাস ব্ল্যাক হোল’। সূর্যের থেকে ১০০-১০,০০০ গুণ বড় ভরের কৃষ্ণগহ্বরগুলিকে এই নামে ডাকা হয়। সূর্যের ৩-১০ গুণ বড় কৃষ্ণগহ্বরগুলিকে বলা হয় ‘স্টেলার ব্ল্যাক হোল’। নয়া আবিষ্কৃত ‘জিডব্লিউ১৯০৫২১’-র ভর সূর্যের প্রায় ১৪২ গুণ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মিল্কি ওয়ে-সহ বহু ছায়াপথের মধ্যিখানে অবস্থিত এই ‘সুপারম্যাসিভ’ কৃষ্ণগহ্বরটি।