টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা-২-র সাহায্যে তোলা চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।—ছবি সৌজন্যে ইসরো।
আরও কাছ থেকে চাঁদের পিঠের ছবি তুলে পাঠাল চন্দ্রযান-২। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে সোমবার সে গুলি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে একাধিক বৃহৎ গহ্বর (ক্রেটার) চোখে পড়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে, এক পদ্মভূষণ খেতাবজয়ী এক বাঙালি পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক শিশির কুমার মিত্রের নামে একটি গহ্বরও, যার নাম ‘মিত্র ক্রেটার।’
বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গহ্বরগুলি আসলে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, যে গুলি অতীতে সক্রিয় ছিল। এখন সেই আগ্নেয়গিরিগুলি মৃত। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় চাঁদের পিঠে উল্কা-সহ বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়ার ফলেও এই ধরনের কিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে, টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা-২-র সাহায্যে ওই ছবিগুলি তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। এ দিন ইসরোর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘জ্যাকসন নামের গহ্বরটি চাঁদের উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। সেটি ৭১ কিলোমিটার চওড়া। মিত্র নামের গহ্বরটি ৯২ কিলোমিটার চওড়া।’’ ইসরোর তরফে আরও জানানো হয়, কোরোলেভে ৪৩৭ কিলোমিটার চওড়া। তার মধ্যে আরও অসংখ্য ছোট ছোট গর্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদের ফার্স্ট লুক! প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলে পাঠাল চন্দ্রযান-২
আগামী ২ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান থেকে চাঁদের কক্ষপথে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পর চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে দু’টি বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি উচ্চতা যখন ১০০ ফুট হবে, তখন ধীরে ধীরে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে শুরু করবে সেটি। ৭ সেপ্টেম্বর সেটি চাঁদের পিঠে পা ছোঁয়াবে বলে আশাবাদী ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই অভিযান সফল হলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জল এবং খনিজ পদার্থ খুঁজতে সুবিধা হবে বিজ্ঞানীদের।
আরও পড়ুন: চাঁদের আরও কাছাকাছি