—প্রতীকী চিত্র।
পৃথিবীর দিকে আজ ধেয়ে আসছে সৌরঝড়। আবহাওয়া দফতরের ‘স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার’ (এসডব্লিউপিসি) একটি সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। জি১ স্তরের (১ থেকে ৫ মাত্রার মধ্যে মৃদুতম) ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের মুখোমুখি হতে পারে পৃথিবী। ঝড়ের প্রভাবে অরোরা তৈরি হতে পারে মেরুপ্রদেশের আকাশে। বিদ্যুৎ পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে কোনও বাড়াবাড়ি হওয়ার ভয় নেই।
এসডব্লিউপিসি জানিয়েছে, এই ধরনের ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি তখনই হয় যখন সূর্য প্রবল পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় মহাকাশে। গত কাল থেকেই মৃদু ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত গতির ঝোড়ো হাওয়া (সোলার উইন্ড) আছড়ে পড়েছে পৃথিবীতে। এর মধ্যে ‘কোরোনাল মাস ইজেকশন’ (সিএমই)-ও ধেয়ে আসছে। এটি কিন্তু সৌরঝড়ের থেকে আলাদা। সিএমই হল, সূর্যের করোনা থেকে নিঃসৃত বিপুল পরিমাণ প্লাজ়মা (আয়নিত কণা ও ইলেকট্রন) ও চৌম্বকক্ষেত্র। সিএমই-র গতি কমবেশি হতে পারে। কখনও ১৫-১৮ ঘণ্টা লাগে পৃথিবীতে পৌঁছতে। কখনও কয়েক দিন। সিএমই-ও পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এটিও রাতের আকাশে অরোরা তৈরি করে। একটি সিএমই সূর্য থেকে বেরিয়েছে ৩০ অগস্ট। দ্বিতীয় সিএমই বেরিয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। এই সিএমই দু’টিও আবার এখনই পৃথিবীতে পৌঁছবে। ফলে সৌরঝড়ের শক্তি আরও বাড়াবে সে। এর জেরে জি১ থেকে জি২ স্তরে রূপান্তরিত হতে পারে সৌরঝড়।