আন্টর্কটিকায় বরফ গলছে ঠিকই, তবে জমছে বেশি, বলছে নাসা

যে পরিমাণ বরফ গলেছে আন্টার্কটিকায়, তার থেকে বেশি বরফ জমেছে সেখানে। সাম্প্রতিক নাসার একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। উপগ্রহ চিত্র্রের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ১৯৯২ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৫ ১৭:০১
Share:

যে পরিমাণ বরফ গলেছে আন্টার্কটিকায়, তার থেকে বেশি বরফ জমেছে সেখানে। সাম্প্রতিক নাসার একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। উপগ্রহ চিত্র্রের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ১৯৯২ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে প্রতি বছরে ১১২ বিলিয়ন টন বরফ জমেছে সেখানে। ফের ২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একটা সমীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায়, বরফ জমার পরিমাণটা একটু কম হয়েছে। বছরে ৮২ বিলিয়ন টন। নাসার গ্লেসিওলজিস্ট জে জলি জানায়েছেন, আন্টার্কটিক পেনিনসুলা, এবং পশ্চিম আন্টার্কটিকার থোয়াইট্স এবং পাইন দ্বীপে যে পরিমাণ বরফ গলেছে, তার ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়েছে আন্টার্কটিকার পূর্ব ভাগ এবং অভ্যন্তরীণ পশ্চিম ভাগ। এই জায়গায় যে পরিমাণ বরফ গলেছে, তার চেয়ে বেশি জমেছে। তিনি আরও জানান, গত কয়েক দশক ধরে যে পরিমাণ বরফ গলেছে, সাম্প্রতিক সমীক্ষার হিসাব অনুযায়ী যদি বরফ জমতে থাকে তা হলে আন্টার্কটিকা তার পুরনো রূপ ফিরে পাবে।

Advertisement

তাই বিজ্ঞানীরা এটাও জানিয়েছে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে আন্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়ায় সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু প্রতি বছর ০.২৩ মিলিমিটার জল টেনেও নিচ্ছে। অর্থাত্ তা পুনরায় বরফে পরিণত হচ্ছে। এটা যে সেই ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ পলিসির মতো। আইপিসিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, সমুদ্রের জলস্তরের পরিমাণ প্রতি বছর ০.২৭ মিলিমিটার বাড়লেও এর জন্য পুরো দায়ী নয় কিন্তু আন্টার্কটিকা। এমনটাই দাবি করছেন নাসার ভূবিজ্ঞানীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement