ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের দু’দিনের ভারত সফর চলাকালীন ফের প্রাপ্তি হল দেশের। জেক এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালর বৈঠকে আজ ঠিক হয়েছে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এক দল মহাকাশচারীকে প্রশিক্ষণ দেবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র একটি দল। মূলত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরালো করে তোলার চেষ্টায় এমন উদ্যোগ বলে মত কূটনৈতিক শিবিরের।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভারত ও আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি’ তথা ‘আইসেট’ নিয়ে নানা কথা হয়েছে দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে। আলোচনায় জোর দেওয়া হয়েছে মহাকাশে আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার উপরে। আরও জানানো হয়েছে, ইসরোর মহাকাশচারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। আগামী দিনে আমেরিকা-ভারতের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাতে এই মহাকাশচারীদের পাঠানো সম্ভব হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন পরিকল্পনা। এ ছাড়াও, চাঁদে কোনও নতুন আবিষ্কার ও পরবর্তীতে মঙ্গলে প্রথম মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে করা ‘লুনার গেটওয়ে প্রোগ্রাম’-এ অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে আজকের বৈঠকে। বৈঠকে উঠে এসেছে ‘নাসা-ইসরো সিনথেটিক অ্যাপারচার রেডার’-এর উৎক্ষেপণের প্রস্তুতির কথাও। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা বিষয়ে নজরদারি করতে কার্যকর হবে এই রেডার। পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মহাকাশ, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি-সহ আরও নানা বিষয়ে কথা হয়েছে জে-ডোভালের। বৈঠক শেষে ডোভাল বলেছেন, ‘‘মূলত ‘কৌশলগত স্বার্থকে’ সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্যে প্রযুক্তিকে আরও উন্নত মানের করে তুলতে হবে আগামী দিনে, যা আমেরিকা ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে সম্ভব।’’