Ageing

বার্ধক্যের গতি, মৃত্যু রোখা অসম্ভবই, জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া যায় না, জানাল গবেষণা

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার কমিউনিকেশন্স’-এ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ১৭:০৫
Share:

বার্ধক্য। -ফাইল ছবি।

না, বার্ধক্যকে কোনও ভাবেই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। জীবনরথের গতিকে শ্লথ করে দেওয়া বা সেই রথের চাকা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে যুবক বা তরুণ হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত কেউ কেউ, সেটাও আক্ষরিক অর্থে, আকাশকুসুমই। অমরত্ত্বও অসম্ভব।

Advertisement

১৪টি দেশের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গড়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দলের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ কথা জানিয়ে দিল। গবেষক দলে রয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরাও। দীর্ঘ দিনের গবেষণার পর তাঁরা জানিয়েছেন, অমরত্ত্বের মতোই যৌবনকে ধরে রাখা একেবারেই অসম্ভব। কোনও ওষুধ, কোনও অস্ত্রোপচার, কোনও ভেষজের মাধ্যমে তা তো অসম্ভবই, পরিবেশের পরিবর্তন ঘটিয়েও বার্ধক্যের গতি ও অনিবার্যতাকে কমানো বা রোখা সম্ভব নয়। কারণ, যে সব কোষ, কলা দিয়ে মানুষ-সহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহ গড়ে ওঠে, উত্তরোত্তর বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে চলাই তাদের অনিবার্য পরিণতি।

‘দ্য লং লাইভস অব প্রাইমেটস অ্যান্ড দ্য ইনভেরিয়্যান্ট রেট অব এজিং হাইপোথিসিস’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার কমিউনিকেশন্স’-এ।

Advertisement

বার্ধক্যকে রোখার জন্য জিনোমিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা চালানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র, শিল্পপতি, বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যেই যে পরিমাণ অর্থবরাদ্দ করেছেন, ২০২৫ সাল নাগাদ তার মূল্য গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬১ হাজার কোটি আমেরিকান ডলারে।

“আন্তর্জাতিক গবেষকদলের গবেষণা তাঁদের হতাশ করতে পারে। আমরা দেখেছি, সঠিক সময়েই মানুষ বার্ধক্যে পৌঁছচ্ছেন। আগের চেয়ে সেই সময়টা যে এগিয়ে গিয়েছে, তা নয়। বার্ধক্যে পৌঁছে মৃত্যুর ঘটনাও কমেনি। তবে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ অনেক বেশি দিন বাঁচছেন। অল্প বয়সে মৃত্যুর হার কমাই এর কারণ,” বলেছেন মূল গবেষক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লেভারহাম সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফিক সায়েন্স’-এর অধ্যাপক হোসে ম্যানুয়েল অ্যাবুর্তো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement