সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করছে আদিত্য়-এল১। —ফাইল চিত্র।
সূর্যের ‘দুয়ারে’ পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল১। নির্ধারিত ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা এল-১ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কাজ করে চলেছে সে। এ বার সেখান থেকেই সূর্যের সামনে চৌম্বক-যন্ত্র বসানো হল, যার নাম ম্যাগনেটোমিটার বুম। এই যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেতে পারে ইসরো।
ইসরো জানিয়েছে, গত ১১ জানুয়ারি এল-১ পয়েন্ট থেকে সূর্যের সামনে একটি ম্যাগনেটোমিটার বুম বসিয়েছে আদিত্য-এল১। যন্ত্রটি ছ’মিটার লম্বা। এই যন্ত্রের মাধ্যমে সূর্যের ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা স্তর পর্যবেক্ষণ করা যাবে। সেই সঙ্গে সূর্যের গ্রহগুলির মধ্যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণেও সাহায্য করবে এই যন্ত্র।
এই যন্ত্রের মধ্যে ম্যাগনেটোমিটারের দু’টি অত্যাধুনিক সেন্সর রয়েছে। মূল সৌরযানের থেকে সেগুলি যথাক্রমে তিন মিটার এবং ছ’মিটার দূরে রাখা হয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত ভাবেই দু’টি সেন্সরের মাঝে এই দূরত্ব রাখা হয়েছে। তাতে আদিত্য-এল১-এর নিজস্ব চৌম্বকীয় আকর্ষণবলের প্রভাব সেন্সরগুলির উপরে পড়বে না।
ইসরোর যন্ত্র সফল ভাবে নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয়েছে এবং তথ্য সংগ্রহ করছে। ইসরো জানিয়েছে, ওই ম্যাগনেটোমিটার বুম সূর্যের সামনে বসাতে সময় লেগেছে মাত্র নয় সেকেন্ড। যন্ত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি।
গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল আদিত্য-এল১। চার মাস পরে সৌরযানটি সূর্যের কাছের নির্দিষ্ট এল-১ পয়েন্টে পৌঁছেছে। সেখানে আগামী পাঁচ বছর থাকবে আদিত্য-এল১। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। তার এক শতাংশ দূরত্ব অতিক্রম করেছে আদিত্য-এল১। সেখান থেকে সূর্যকে বিনা বাধায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ করে নাসার বেঙ্গালুরুর অফিসে পাঠাচ্ছে সৌরযান।