এ বার সাইবার হানার কবলে ভারত। ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।
সাইবার হামলার কথা আজকের দিনে অনেকেই জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন প্রতি ১৪ মিনিটে একটি কম্পিউটার সাইবার হামলার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? আপনার অজান্তেই কম্পিউটার-মোবাইলে ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন রকমের ম্যালওয়্যার। যার মাধ্যমে সহজেই আপনার গোপন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার হামলাকারীরা।
সম্প্রতি ভারতীয় সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা ও সফটওয়্যার সংস্থা 'কুইক হিল' একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি বছরে ভারতে অনেক সাইবার হামলা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা এই চারটি মহানগর। এই চার শহরে সবথেকে বেশি সাইবার হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, সাইবার হামলা যারা করে, তাদের মূল লক্ষ্য থাকে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আঘাত আসে উইন্ডোজ এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের উপর। উইন্ডোজ ডিভাইসের ক্ষেত্রে গত এক বছরে প্রায় ১০০ কোটি (৯৭৩ মিলিয়ন) সাইবার হামলার রিপোর্ট নথিভুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে বলা যায়, প্রতি মিনিটে ১৮৫২ উইন্ডোজ ডিভাইস আক্রান্ত হয়।
‘কুইক হিল’-এর দাবি নকল বা পাইরেটেড সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় সবচেয়ে বেশি ভাইরাস আক্রমণ হয়। সবচেয়ে বেশি যে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ হয় তা হল ট্রোজান। এই ট্রোজান হল সাইবার হামলার আরও একটি কারণ। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ইন্টারনেটে প্রচুর সফটওয়্যার রয়েছে যারা দাবি করে ১০০ শতাংশ নিরাপদ, কিন্তু বাস্তবে তা নয়।
স্ট্যান্ড অ্যালোন ওর্মস এবং ইনফেক্টরস হল সাইবার আক্রমণের অন্যতম বড় কারণ। সঙ্গে র্যানসমওয়্যার রয়েছে, যা প্রতি ১৪ মিনিটে একটি ডিভাইসকে আঘাত করে বলে রিপোর্টে দাবি। এর ফলে দিন দিন সাইবার অপরাধ বেড়েই চলেছে। চলতি বছরে ভারতের উপর প্রচুর সাইবার আঘাত আছড়ে পড়েছে, এর ফলে গ্রাহকের ব্যাক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার রয়েছে প্রশ্নের মুখে।
আরও পড়ুন: রামানুজনের পূণ্যভূমির মাটিই কি উতরে দেবে বিক্রমকে?
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ক্ষেত্রে ইউজাররা না বুঝেই অনেক অ্যাপ ডাউনলোড করেন। তাঁর মধ্যে কিছু ভুয়ো, ম্যালওয়্যার সম্পৃক্ত অ্যাপ থাকে। এই ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রতি তিন মিনিটে একটি করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: ‘রিয়েল টাইম’ ছবিই বলবে নামবে কোথায়
তাই বিচার না করে অনলাইন কোনও অ্যাপ বা সফটওয়্যার মোবাইলে বা কম্পিউটারে ডাউনলোড না করাই উচিত। গুগল প্লে স্টোর থেকেও কোনও অ্যাপ নামানোর আগে ভাল করে যাচাই করে নিতে হবে।