সানি দেওলের ছেলের রিসেপশনের ‘হিমাচল ধাম'। ছবি: সংগৃহীত।
হিমাচল প্রদেশের দশাল গ্রামে গিয়ে ছেলের বিয়ের রিসেপসনের আয়োজন করেছিলেন অভিনেতা সানি দেওল। সানির পুত্র কর্ণ দেওল তাঁর দীর্ঘকালীন প্রেমিকা দৃশা আচার্যের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুম্বইতে। তবে দশালের গ্রামবাসীদের নিয়ে অনুষ্টিত হয় তাঁদের রিসেপসনের অনুষ্ঠান। রিসেপশনের ভোজে ছিল ‘হিমাচলি ধাম’! হিমাচল প্রদেশে কোনও অনুষ্ঠানের ভোজে এই থালি বেশ জনপ্রিয়, এই থালি হিমাচলের সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত।
হিমাচলের প্রথা অনুযায়ী ব্রাহ্মণ রাঁধুনিরা (স্থানীয় ভাষায় ওদের বোটি বলে) এই বিশেষ থালি তৈরি করেন। কর্ণের রিসেপশনের অনুষ্ঠানে শেফ নারেশ কুমার মিশ্র ‘হিমাচলি ধাম’ তৈরি করেন। এই থালিতে ছিল রাজমা, গুচি কা মদ্রা (মাশরুমের পদ), ডাল চানা, করি পকোড়া, সেপু বড়া (ডাল ও পালং শাক বেটে তৈরি বড়া) আর খট্টা কদ্দু (কুমড়োর টক তরকারি)। এই থালির সবচেয়ে নজরকাড়া পদ ছিল গুচি কা মদ্রা। গুচি মাশরুমের স্বাদে অতুলনীয়, তাই এর দামও আকাশছোঁয়া। এই মাশরুম দিয়েই গুচি কা মদ্রা পদটি রান্না করা হয়েছিল। এই মাশরুমের এক কেজির দাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এই পদগুলি রান্নার সময় পেঁয়াজ আর রসুনের ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত এই থালি নিরামিষই হয়, তবে হিমাচলের কিছু কিছু অঞ্চলে ইদানীং মাছ, মাংস দিয়েও এই থালি পরিবেশন করা হয়।
‘হিমাচলি ধাম’ হিমাচলের সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। ছবি: সংগৃহীত।
ধাম হল একটি থালি যার মধ্যে একাধিক পদ থাকে। ডাল, রাজমা, পনির, ভাত, রুটি, খাট্টা (টক পদ) থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সব্জি— ধাম এক জন ব্যক্তির জন্য একটি সম্পূর্ণ খাবার। এতে রয়েছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য প্রদান। এ ছাড়াও, ধাম তৈরিতে ব্যবহৃত রান্নার পদ্ধতি উপাদানগুলির পুষ্টির মান ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই থালি খুবই পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য।