এই স্ন্যাক্স রাখতেই হবে পাতে। ছবি: শাটারস্টক
বর্ষার মরসুমে একটু স্বাদ বদল। আলুর চপই বলা যায়, তবে রেস্তরাঁর ঢঙে। আলুর সঙ্গে চিজের যুগলবন্দী, সঙ্গে গোলমরিচ। কি জিভে দল আসছে তো? তাহলে আর কী। শিখে নিন এই স্ন্যাক্সের রেসিপি। পট্যাটো চিজ বল দোকানের মতোই বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই।
উপকরণ
আলুর জন্য
২৫০ গ্রাম আলু
এক চা চামচ রসুন বাটা
নুন
চিলি ফ্লেক্স হাফ চা চামচ
গোলমরিচের গুঁড়ো বা গোলমরিচ থেঁতো করা এক চা চমচ
ওরিগ্যানো হাফ চা চামচ (নাও দিতে পারেন)
৬ টেবিল চামচ ব্রেড ক্রাম্ব বা ওটস গুঁড়ো
ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ
পুরের জন্য
১০০ গ্রাম চিজ (মোজারেলা হলে ভাল)
হাফ চা চামচ ওরিগ্যানো
চিলি ফ্লেক্সস হাফ চা চামচ
গোলমরিচের গুঁড়ো হাফ চা চামচেরও একটু কম
হাফ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো
চিজ বল কোটের জন্য
২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার
প্রণালী: আলু ভাল করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। যাতে খুব শক্তও না থাকে, আবার খুব বেশি গলেও না যায় এমন হবে আলু সেদ্ধ। ভাল করে আলুটাকে চটকে তার মধ্যে রসুন বাটা, ওরিগ্যানো, ধনেপাতা কুচি, অল্প নুন (কারণ চিজে নুন থাকে), গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে চিলি ফ্লেক্স এবং ব্রেড ক্র্যাম্ব বা ওটসের গুঁড়ো। চাইলে চিড়ের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। ভাল করে মেখে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিতে হবে। বাইরে আলুর আস্তরণ তৈরি।
এরপর পুরের জন্য আলাদা একটি পাত্রে চিজগুলিকে হাফ ইঞ্চি মতো কিউব করে কাটতে হবে। সেখানে গোলমরিচের গুঁড়ো, ওরিগ্যানো বা ইটালিয়ান হার্ব, চিলি ফ্লেক্স, গরম মশলার গুঁড়ো মাখিয়ে নিতে হবে কিউবগুলিতে।
পরের ধাপে ওই আলুর বলগুলিকে হাতে চ্যাপ্টা করে নিতে হবে ছোট লুচির আকারে। তার মধ্যে চিজ কিউবটাকে রেখে আবারও ভাল করে বলের আকারে গড়ে নিতে হবে। যাতে ভেঙে না যায়, খেয়াল রাখতে হবে। এরপর একটি পাত্রে রাখা কর্নফ্লাওয়ারে সেই বলগুলিকে কোট করে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি আলু চিজের দুরন্ত যুগলবন্দী। পট্যাটো চিজ বল পরিবেশন করুন ধনেপাতার সঙ্গে। সস দিয়েও খেতে পারেন, এমনিও লা জবাব।