নারকেল থেকে ময়দা তৈরি করা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী খাবারের সঙ্গে নারকেলের চাটনি খেয়েছেন। রক্তে শর্করা যাতে লাগামছাড়া না হয়, তার জন্য নারকেল থেকে তৈরি চিনিও খান অনেকে। কিন্তু নারকেল থেকে যে ময়দাও তৈরি করা যায়, এ কথা হয়তো অনেকেরই অজানা।
স্বাস্থ্যকর মিষ্টি, যেমন কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ়, পিৎজ়া, পাউরুটি তৈরি করতে গমের বদলে ইদানীং নারকেলের ময়দা ব্যবহারের চল হয়েছে। যাঁদের গ্লুটেন বা গমজাত খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরাও এখন এই নারকেলজাত ময়দা দিয়ে তৈরি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নারকেলজাত ময়দায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যা অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। রক্তে বাড়তি শর্করাও থাকে না এই ময়দা খেলে। নারকেল থেকে তৈরি ময়দায় মোট কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন, তাঁদের ডায়েটেও এই ময়দা থাকতে পারে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি উৎস হতে পারে নারকেলের ময়দা। কিন্তু, গমকলে তো নারকেল পেষাই করা যায় না! তা হলে ময়দা তৈরি করবেন কী করে?
নারকেল থেকে ময়দা তৈরি করবেন কী ভাবে?
১) বাজার থেকে শুকনো নারকেল কোরা কিনে আনতে পারেন। না হলে নারকেল কুরিয়ে, ব্লেন্ড করে দুধ ছেঁকে বার করে নিন।
২) এ বার বেকিং ট্রে-তে শুকনো, কোরানো নারকেল ছড়িয়ে দিন।
৩) একেবারে ঝুরঝুরে করতে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা অভেনে রেখে দিতে হবে। সে সময়ে অভেনের তাপমাত্রা থাকবে ১৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। হাতে সময় কম থাকলে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৪) ঝুরঝুরে হয়ে গেলে ওই অবস্থায় রেখে দিন বেশ কিছু ক্ষণ। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে গ্রাইন্ডারে মিহি করে গুঁড়িয়ে নিতে হবে।
৫) বায়ুরোধী কাচের শিশিতে সেই ময়দা ভরে রাখতে পারেন। ভাল করে রাখতে পারলে মাস ছয়েক পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করা যায়।