দোকানের মতো দোসা বাড়িতেই বানাবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
যাঁরা দক্ষিণী খাবার পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে দোসা খুবই প্রিয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, সকালের জলখাবারে দোসার মতো দক্ষিণী খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। অনেকেই বাড়িতে দোসা বানানোর চেষ্টা করেন। কড়কড়ে দোসা বানানোর জন্য নির্দিষ্ট তাওয়াও কিনে আনেন, তবে বাজারের মতো স্বাদ কিছুতেই আসে না। জেনে নিন কী কী করলে বাড়িতে বানানো দোসাও হবে রেস্তরাঁর মতো সুস্বাদু।
১) সঠিক মাপ: দোসা বানানোর সময়ে বিউলির ডাল ও চাল সঠিক পরিমাণে নেওয়া ভীষণ জরুরি। ৪ কাপ চাল নিলে ১ কাপ ডাল নিতে হবে। পরিমাণ ঠিক না হলে কিন্তু দোসা ভাল হবে না। শুধু তা-ই নয়, চাল-ডাল মিক্সিতে ঘুরিয়ে ঘোল বানানোর সময়ে জলের পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
২) বড় পাত্র বেছে নিন: চাল-ডালের মিশ্রণটি ভেজানোর সময় একটি বড় পাত্র বেছে নিন। ছোট পাত্রে বেছে নেবেন না। চাল-ডাল যেন ভাল ভাবে জল টেনে নিতে পারে, সে দিকে নজর দিতে হবে।
৩) মিশ্রণটি মজতে সময় দিন: চাল-ডাল বেটে নেওয়ার পর মিশ্রণটিকে মজতে পর্যাপ্ত সময় দিন। গরম থাকলে সূর্যের আলো আসে এমন জায়গায় অন্তত ৬ ঘণ্টা রেখে দিন, আর পরিবেশ ঠান্ডা হলে অন্তত ১২ থেক ১৫ ঘণ্টা বাটা মিশ্রণটি রেখে দিতে হবে।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, সকালের জলখাবারে দোসার মতো দক্ষিণী খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। ছবি: শাটারস্টক।
৪) মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখবেন না: দোসার মিশ্রণটি ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজে রেখে দিলে দোসার মিশ্রণটি ভাল করে মজবে না, ফলে দোসায় দোকানের মতো টক ভাব আসবে না। ঘরের তাপমাত্রাতেই মিশ্রণটি রাখতে সেটি ভাল মজবে।
৫) গরম তাওয়া: দোসা বানানোর সময়ে তাওয়াটি খুব ভাল করে গরম করে নিতে হবে। গরম তাওয়ায় খানিকটা ঠান্ডা জল ছিটিয়ে ভাল করে মুছে নিন। তার পর পরিমিত মিশ্রণ নিয়ে ভাল করে তাওয়ায় ছড়িয়ে নিতে হবে, খেয়াল রাখবেন যেন দোসাটি খুব পাতলা হয়।