আম-পাবদার ঝোল বানানো খুব সহজ। ছবি: সংগৃহীত।
পাবদা মানেই বেশ রসিয়ে ঝালের কথাই মনে আসে। দেশি পাবদা বাজারে এলে তো আর কথাই নেই। সর্ষে-পোস্ত বাটা আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ঝাল ঝাল পাবদা মাছের তেল ঝাল যেন অমৃত। গরম ভাতে পাবদার ঝাল হলে আর কিছু লাগে না। পাবদা রাঁধার বিভিন্ন রকম পদ্ধতি আছে। যে যেমন করে রাঁধেন। এ পার বাংলা আর ও পার বাংলা মিলিয়ে অনেক রেসিপি আছে। কাঁচা আম দিয়ে পাবদার ঝোল দুই বাংলার মানুষজনেরই পছন্দ। বেশি সর্ষে বাটা খেলে যাঁদের অম্বল হয়, তাঁরা কালো জিরে দিয়ে আম-পাবদার ঝোল বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। স্বাদেও খাসা আর শরীরের জন্যও ভাল। এই বর্ষায় চারদিকেই জ্বর হচ্ছে। ওষুধ খেয়ে মুখে অরুচি। এদিকে চিকিৎসকেরাও হালকা, পাতলা রান্না খেতে বলছেন। আম-পাবদার ঝোল আপনার মুখের স্বাদ ফেরাবে, তাতে কোনও সন্দেহই নেই।
কী ভাবে বানাবেন জেনে নিন।
উপকরণ
দেশি পাবদা মাছ-- চারটি
কাঁচা আম- ১/২ কাপ (লম্বা করে কাটা)
কালোজিরে- ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ২ চা চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো- ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা- ৪টি
গোটা সর্ষে- ১/২ চা চামচ
গোটা শুকনো লঙ্কা- ১টি
সর্ষের তেল- ১ / ৪ কাপ
নুন স্বাদ মতো
প্রণালী
কড়াইয়ে তেল গরম করে পাবদা মাছগুলি হালকা করে ভেজে তুলুন। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। একটি বাটিতে আধ কাপ জলে হলুদ,জিরে আর লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে রাখুন। এ বার তেলে শুকনো লঙ্কা, কালোজিরে ও সর্ষে ফোড়ন দিন। আঁচ মাঝারি রাখতে হবে, না হলে মশলা পুড়ে যাবে। এর পর তাতে কাঁচা আমের টুকরোগুলি দিয়ে ভেজে নিন। গুঁড়ো মশলা যা জলে গুলে রেখেছিলেন সেটি এ বার দিয়ে দিন। কষাতে কষাতেই নুন দিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে এক কাপের মতো জল দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। ঝোল ফুটে এলে তাতে ভাজা মাছ দিয়ে কম আঁচে ভাপে বসিয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক রেখে উপরে কাঁচা সর্ষের তেল, চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।