রান্নাঘরের মশলার গুণেই পালাবে রোগবালাই। —প্রতীকি ছবি।
রান্নাঘরের রকমারি মশলায় রয়েছে নানা গুণ। তারই মধ্যে একটি মশলা হল দারচিনি। শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করা-সহ এই মশলার বহু গুণ। মেদ ঝারাতে সাহায্য করে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর ব্যাপারেও এর ভূমিকা রয়েছে।
বর্ষা মানেই বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা। আবার এই সময়ে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভাইরাস-ব্যাক্টিরিয়ার বাড়বাড়ন্তে সর্দি-কাশি, জ্বরের সম্ভাবনা। তবে, দারচিনির গুণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে পিছু হটতে পারে রোগবালাই। কী ভাবে দারচিনি খাবেন?
আদা ও দারচিনির ‘চা’
আদা চা অনেকেই খান। তবে এর সঙ্গে দারচিনির গুণ জুড়লে চা হয়ে উঠবে পুষ্টিকর। আদা ও দারচিনিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। রোজ সকালে দারচিনি দেওয়া চা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। শরীরচর্চার পরেও খেতে পারেন দারচিনি দেওয়া চা। তাতেও উপকার হবে। তবে একে 'চা' বলা হলেও, এতে চা পাতা দেওয়া হয় না।
জলের মধ্যে দারচিনি, আদা, লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দারচিনি চা। মিষ্টির জন্য চিনি নয়, যোগ করতে হবে মধু।
দারচিনি দুধ
ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিনে ভরপুর দুধ সুষম খাদ্য হিসাবেই পরিচিত। দুধের সঙ্গে দারচিনির গুণ জুড়লে তা হয়ে উঠবে আরও স্বাস্থ্যকর। টাইপ টু ডায়াবিটিসের রোগীর ক্ষেত্রে প্রত্যেক দিন আধ চা চামচ করে দারচিনি খাওয়ায় উপকার হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে দারচিনি।
দারচিনির টুকরো দুধে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিলেই মশলার নির্যাস দুধে মিশে যাবে। চাইলে দুধে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়েও খাওয়া যায়। দুধ হজম করতে সমস্যা না থাকলে, দারচিনি দেওয়া এক কাপ গরম দুধ খেলে শরীর ভাল থাকবে।
দারচিনি মধুর জল
সকালে উঠে দারচিনি-মধুর জল খেলেও শরীর ভাল থাকবে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দারচিনিতে রয়েছে থার্মোজেনিক উপাদান। যা বিপাকহারের গতি বাড়িয়ে তোলে। দেহের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, হজমের সমস্যাও কমে দারচিনির জলে।
একটি গ্লাসে সামান্য জল নিয়ে তাতে ১ চা-চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর তাতে আরও জল ঢেলে মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দারচিনি ও মধুর জল।
চা, জল বা দুধ, এর মধ্যে কোনও একটি খেলেই ছোটখাটো রোগ সংক্রমণ এড়ানো যাবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। দারচিনির অনেক গুণ থাকলেও, যে কোনও মশলা অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। নিয়মিত ডায়েটে কোনও কিছু যুক্ত করলে এক বার চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল।