পাস্তা সেদ্ধ করার সময় অতিরিক্ত যে জল থেকে যায়, অধিকাংশ সময়ই তা ছেঁকে ফেলে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
ইতালির খাবার হলেও পাস্তা এখন ঢুকে পড়েছে বাঙালির রান্নাঘরেও। খুদেদের টিফিন থেকে বিকেলের জলখাবার, অনেকেই এখন মাঝে মাঝেই পাস্তা খান। পাস্তা সেদ্ধ করার সময় অতিরিক্ত যে জল থেকে যায়, অধিকাংশ সময়ই তা ছেঁকে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি, পাস্তা সেদ্ধ করা জল ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন কাজে লাগানো যেতে পারে? একটি পাত্রে সেই জল জমিয়ে রেখে সুযোগ বুঝে কাজে লাগালেই হল।
পিৎজা তৈরি করতে
পাস্তার মতো পিৎজাকেও আপন করে নিয়েছে বাঙালি। অনেকেই এখন বাড়িতেই পিৎজা বানিয়ে নেন। এই পিৎজার ময়দা মাখার সময়েই ব্যবহার করতে পারেন পাস্তা সেদ্ধ করা হল। এই জলে আগে থেকেই নুন আর তেল মেশানো হয়, ফলে পিৎজা হয় তুলেতুলে নরম। শুধু পিৎজা নয়, বাড়িতে পাউরুটি বানাতে চাইলেও এই টোটকা কাজে লাগবে।
ডাল ও ভাত সেদ্ধ করতে
ভাত রাঁধার সময় সাধারণ জলের বদলে পাস্তা সেদ্ধ জল ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি চাল সেদ্ধ হয়ে যায়। তবে ভাতের স্বাদে সামান্য বদল আসবে এতে। একই কথা প্রযোজ্য ডালের ক্ষেত্রেও। রান্নার আগে ডাল ধুয়ে পাস্তা সেদ্ধ করা গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। রান্নার সময় দেখবেন, অনেক কম সময় লাগছে।
সব্জি সেদ্ধ করতে চাইলে
রান্নার জন্য যদি আগে থেকে কোনও সব্জি সেদ্ধ করে নিতে হয়, তবে আর আলাদা না বসিয়ে পাস্তা সেদ্ধ করা জলের মধ্যেই দিয়ে দিন। জলের অপচয় কম হবে।
শীতের সব্জি দিয়ে কিংবা মুরগির মাংস দিয়ে যে স্যুপ বানানো হয়, সেখানেই সাধারণ জলের বদলে পাস্তার জল দিয়ে দিন। ছবি: সংগৃহীত
স্যুপ বানানোর সময়ে
শীতের সব্জি দিয়ে কিংবা মুরগির মাংস দিয়ে যে স্যুপ বানানো হয়, সেখানেই সাধারণ জলের বদলে পাস্তার জল দিয়ে দিন। স্বাদ বাড়বে নিঃসন্দেহে।
মশলা কষাতে
কোনও রান্না কষানোর সময়ে মশলা একটু বেশি শুকিয়ে গিয়ে যদি কড়াইয়ে যখন লেগে যায়, তবে এই মশলা তুলতে সাধারণ জলের বদলে পাস্তা সেদ্ধ করা জল ব্যবহার করা যায়। স্বাদ বাড়বে রান্নার।