পদ্ধতি জানা থাকলে টক আমলকিও মিষ্টি হবে সহজে। ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়তে না পড়তেই হেঁশেলে আমলকির আনাগোনা শুরু হয়। মরসুম বদলের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে অনেক বাড়িতে আমলকি খাওয়া হয়।
আমলকিতে ভিটামিন সি রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, নানা রকম খনিজ। যেগুলি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করে। চুল, ত্বকের জন্যও এই ফলটি খাওয়া ভাল। শরীরে জমা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে আমলকি।
কিন্তু মুশকিল হল, আমলকি এতই টক যে খেলেই দাঁত শিরশির করে। কানের গোড়া ঝনঝনিয়ে ওঠে অনেকের। তাই বলে আমলকি খাওয়া বন্ধ করে দেবেন? বরং তা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন টক-মিষ্টি ক্যান্ডি। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম: আমলকি
২৫০ গ্রাম: গুড়
১ চা চামচ: ছোট এলাচের গুঁড়ো
১ চা চামচ: বিটনুন
আধ চা চামচ: শুঁট (আদা গুঁড়ো)
প্রণালী:
১) আমলকি ভাল করে ধুয়ে নিন।
২) পাত্রে জল গরম হলে তার মধ্যে গোটা আমলকি দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট মতো সেদ্ধ হতে দিন। খেয়াল রাখবেন, আমলকি যেন খুব বেশি সেদ্ধ হয়ে না যায়।
৩) এ বার সেদ্ধ আমলকির মধ্যে থেকে বীজগুলি বার করে ফেলে দিন।
৪) সেদ্ধ করা, বীজ ছাড়ানো আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
৫) একটি পাত্রে গুড় এবং আমলকি ভাল করে মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার, শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রাখুন দিন দুয়েক।
৬) আমলকির সঙ্গে গুড় মিশে যাবে। আমলকি থেকেও রস বেরোতে শুরু করবে।
৭) এ বার সেখান থেকে আমলকিগুলো ছেঁকে তুলে নিন।
৮) ছোট এলাচের গুঁড়ো, শুঁট, বিটনুন মাখিয়ে অন্য একটি প্লেটে সাজিয়ে রাখুন। প্লেটের উপর পেপার টাওয়েল বা টিস্যু দিয়ে নিতে পারেন।
৮) আমলকি-সহ ওই প্লেটটি এ বার রোদে রেখে দিন। তিন-চার দিন রোদ খেলেই আমলকি শুকিয়ে লজেন্সে পরিণত হবে।
৯) বায়ুরোধী, শুকনো কাচের শিশিতে আমলকির ক্যান্ডি বা লজেন্সগুলি ভরে রাখুন।