চট্টগ্রামের বিখ্য়াত চিংড়ি ভর্তা।
ভর্তার উৎপত্তি মূলত বাংলাদেশেই। সংস্কৃতি, আদবকায়দা, রীতিনীতি, খাদ্যাভ্যাস, ভাষার মতো আরও অনেক জিনিসের আদানপ্রদান ঘটেছে দুই বাংলার মধ্যে। এই বিনিময়ের মধ্যে দিয়েই কোনও এক ফাঁকে সীমান্ত পেরিয়ে এ পারে চলে এসেছে নানা রকমের ভর্তা। এ পারের বাঙালিদের হেঁশেলে স্বমহিমায় বিরাজ করছে। আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, মেটে ভর্তা, চিকেন ভর্তা প্রায়ই পাতে আলো করে থাকে। আগামী কাল ২১ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল চট্টগ্রামের মাটি থেকেই। ভাষা দিবসের প্রাক্কালে নৈশভোজে বানাতে পারেন চট্টগ্রামের বিখ্য়াত চিংড়ি ভর্তা। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
কুচো চিংড়ি : এক কাপ
চৌকো করে কাটা পেঁয়াজ: আধ কাপ
রসুন কুচি: দু’টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৫টি
শুকনো লঙ্কা: ৪টি
লবণ: স্বাদ মতো
সর্ষের তেল: পরিমাণ মতো
টমেটো কুচি: আধ কাপ
ধনে পাতা: দু’টেবিল চাম
ছবি: প্রতীকী
প্রণালী:
চিংড়ির খোসাগুলি ভাল করে ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন।কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে চিংড়ি মাছ ও বাকি উপকরণগুলি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
চিংড়িগুলি লাল লাল হয়ে এলে তেল ছেঁকে নিয়ে একটি অন্য পাত্রে তুলে ঠান্ডা করতে দিন।
এ বার একটি শিল-নোড়া বা মিক্সিতে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলি মিহি করে বেটে নিন।
চিংড়ি মাছের এই মিশ্রণটি শুকনো কড়াইয়ে অল্প তেল একটু নাড়াচাড়া করে নিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ি মাছের ভর্তা।