জলখাবারে জমে যাবে সিন্ধি রান্না, বানানো খুবই সহজ। ছবি: ফ্রিপিক।
বাঙালির হেঁশেলে সকালের জলখাবার মানেই লুচি-পরোটা বা রুটি তরকারি। এখন আবার দুধ-ওট্স, কিনোয়া, বা চিয়া পুডিংও খাচ্ছেন অনেকে। একঘেয়ে আটা বা ময়দার রুটি বা লুচি খেতে খেতে যদি অরুচি হয়ে যায়, তা হলে স্বাদবদল করে ফেলাই ভাল। হেঁশেলে অন্য রকম স্বাদের খাবার বানানোর ইচ্ছা হলে সিন্ধি জলখাবার বানাতে পারেন। বেশির ভাগ সিন্ধি পরিবারে যে দু’টি খাবার খুবই জনপ্রিয় তা হল খাস্তা কোকি রুটি এবং সিন্ধি কারি। বানানো খুবই সহজ। জেনে নিন প্রণালী।
কোকি রুটি
উপকরণ
এক কাপ আটা
আধ কাপ পেঁয়াজ
৩ চামচ ধনে পাতা
২ চামচ তেল
আধ চামচ ধনে গুঁড়ো
আধ চামচ আনারদানা পাউডার
১ চামচ গোটা জিরে
নুন স্বাদমতো
কোকি রুটি। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রণালী
আটার সঙ্গে পেঁয়াজকুচি, কাঁচা লঙ্কাকুচি, ধনে পাতা মিশিয়ে নিন। এ বার তাতে ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, আনারদানা পাউডার, নুন ও গোটা জিরে মিশিয়ে ভাল করে মাখতে হবে। এ বার মণ্ডটা আধ ঘণ্টা ঢাকা দিয়ে রাখুন।
এর পর লেচি কেটে বেলে নিন। তাওয়ায় তেল গরম করে তে রুটি গুলি দিয়ে এ পিঠ ও পিঠ ভাল করে সেঁকে নিন। তার পর ঘি মাখিয়ে গরম গরম পরিবেশ করুন।
সিন্ধি কারি
উপকরণ
এক কাপ বেসন
মরসুমি সব্জি
৩-৪টি টম্যাটো
আধ চামচ মেথি বীজ
আধ চামচ সর্ষে
আধ চামচ গোটা জিরে
এক চিমটে হিং
কারি পাতা
সিন্ধি কারি। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রণালী
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সর্ষে দানা, মেথি দানা, গোটা জিরে ও হিং ফোড়ন দিয়ে হালকা হাতে নাড়ুন। এর পর তাতে কারি পাতা ফোড়ন দিন। আঁচ কমিয়ে বেসন দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছু ক্ষণ পরেই সুন্দর গন্ধ বেরোবে। বেসন নাড়তে নাড়তেই তার রং বদলাবে। এর পর তাতে মেশান টম্যাটো বাটা। স্বাদমতো নুন দিয়ে মরসুমি যা যা সব্জি দেবেন সেগুলি দিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে ফোটান। সব্জি সিদ্ধ হয়ে নামিয়ে নিন।