পুজোয় বানিয়ে ফেলুন হারিয়ে যাওয়া মিষ্টির পদ। ছবি: শাটারস্টক।
দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। পুজোর চারদিন ভাল-মন্দ না খেলে কি চলে? পুজোর ভোজ সারতে অনেকেই রেস্তরাঁয় যান। অনেকেই আবার মনে করেন পুজোর ক’দিন রেস্তরাঁর উপর নির্ভর না করাই ভাল। বাড়িতেই জমিয়ে রান্না করতে পছন্দ করেন কেউ। ‘ফুড ফারিস্তা’-র কর্ণধার ও রন্ধনশিল্পী শর্মিলা বসু ঠাকুরও পুজোতে বাড়িতেই রান্নাবান্না করতে ভালবাসেন। আগে পুজো মানেই ছিল ঠাকুরমা-দিদিমাদের হাতে তৈরি নানা রকম মিষ্টির পদ। শর্মিলাদের ঢাকার বাড়িতেও সেই চল ছিল। পুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই তাঁর ঠাকুরমা শুরু করে দিতেন মিষ্টি বানানোর প্রস্তুতি। মুচমুচে খাস্তা সাদা তিলের তক্তি, চিড়ের মোয়া, লালচে মচমচে খই উপড়া বা খইয়ের মুড়কি বানানো হত বাড়িতে। বিজয়ার পর বাড়িতে কেউ এলেই দোকান থেকে কেনা মিষ্টি নয়, বরং ঠাকুরমার হাতে তৈরি সেই সব মিষ্টিই পরিবেশন করা হত অতিথিদের। এই পুজোয় বাড়িতে অতিথি এলে আপনিও কি বাড়িতে তৈরি কোনও মিষ্টি বানিয়ে তাঁদের মন জয় করতে চান। মায়ের হাতের রাঙা আলুর পায়েসের রেসিপির হদিস দিলেন শর্মিলা।
উপকরণ:
দুধ: এক লিটার
রাঙা আলু কুচি: ১ কাপ
চিনি: স্বাদমতো
ঘি: ২ টেবিল চামচ
ছোট এলাচ: ২-৩টি
এলাচ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
প্রণালী:রাঙা আলু লম্বা করে কুচিয়ে কেটে নিন। খুব বেশি মিহি করার প্রয়োজন নেই। কড়াইতে ঘি গরম করে এলাচ ফোড়ন দিয়ে মিষ্টি আলু ভেজে নিন। সামান্য রং পরিবর্তন হলে দুধ ঢেলে দিন। ভাল করে বেশ কিচু ক্ষণ নাড়িয়ে দুধ ঘন করে নিন। আলু সেদ্ধ হয়ে এলে চিনি মিশিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। নামানোর আগে সামন্য এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন রাঙা আলুর পায়েস।