স্বাস্থ্যকর মেয়োনিজ় বানাবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
স্যান্ডউইচ হোক বা বার্গার, স্যালাড হোক কিংবা র্যাপ— সঙ্গে মেয়োনিজ় না থাকলে ঠিক জমে না। কিন্তু খেতে ভাল লাগলেও মোয়োনিজ় খেলে অপ্রয়োজনীয় পুষ্টিহীন ক্যালোরি ছাড়া শরীরে আর কিছুই ঢোকে না। জানেন কি মেয়োনিজের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন এমন এক উপাদান যা স্বাদে মেয়োনিজ়ের চেয়ে কম নয়, অথচ স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর। জল ঝরানো টক দই হতেই পারে মেয়োনিজ়ের বিকল্প! কী ভাবে বানাবেন, রইল প্রণালী।
উপকরণ:
১ কাপ জল ঝরানো দই
২ চা চামচ মাস্টার্ড সস্
১ চা চামচ রসুনের কিমা
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
স্বাদ মতো নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
প্রণালী:
একটি মসলিন কাপড়ের মধ্যে বাড়িতে পাতা দই রাখুন, এ বার আলতো করে গিঁট বেঁধে নিন। সারা রাত ঝুলিয়ে রেখে দিন দই। পরের দিন সকালেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার জল ঝরানো দই। এ বার ওই দইয়ের সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে এয়ারটাইট কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ২-৩ দিন ব্যবহার করতে পারবেন এই স্বাস্থ্যকর মেয়োনিজ়। স্যান্ডউইচ হোক বা স্যালাড— এই মেয়োনিজ় দিয়ে বানিয়ে ফেলতেই পারেন।
কেন মেয়োনিজ়ের বদলে জল ঝরানো দই খাবেন? মেয়োনিজ়ে প্রচুর পরিমাণে ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ থাকে, যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। ‘লো ডেনসিটি কোলেস্টরল’-এর মাত্রা বৃদ্ধির পিছনে এই ফ্যাটের ভূমিকা অনেকখানি। এ ছাড়াও বেশি পরিমাণে রয়েছে সোডিয়ামের উপাদান। অন্য দিকে, জল ঝরানো দই প্রোটিন ও ক্যালশিয়ামে ভরপুর। এতে রয়েছে উপকারী প্রোবায়োটিক, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। জল ঝরানো দই খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টরল। এটি রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া হজমের সমস্যা থাকলেও দই খেলে উপকার পাওয়া যায়। ডায়েট করলেও দই দিয়ে বানানো মেয়োনিজ় খেতে পারেন। তা ছাড়া, দইয়ের ক্যালোরি মাত্রা মেয়োনিজ়ের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই জল ঝরানো দই দিয়েই এ বার বানিয়ে ফেলুন মেয়োনিজ়।