বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন জয়নগরের মোয়া, শুধু জানা চাই যথার্থ কৌশল। ফাইল চিত্র
ডিসেম্বরের শেষেও নড়বড়ে ব্যাটিং করছে শীত। কিন্তু শীতের আমেজ আসুক বা না আসুক, নরম রোদ গায়ে মেখে বর্ষশেষের উদ্যাপনে কিন্তু পিছিয়ে নেই বাঙালি। আর এই সময়ে যে খাবারগুলির দিকে নজর সবচেয়ে বেশি থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল জয়নগরের মোয়া। মিষ্টির দোকানে যত মোয়া মেলে, তার মধ্যে কোনগুলি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সেই বিশেষ জায়গাটি থেকে এসেছে, তা হলফ করে বলা শক্ত। দোকানে গিয়ে মোয়া খাঁটি কি না তা যাচাই করার বদলে নলেন গুড়, কনকচূড় ধানের খই, কিশমিশ দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন এই মোয়া। শুধু জানা চাই যথার্থ কৌশল। রইল প্রণালী।
উপকরণ
১। কনকচূড় ধানের খই: ২৫০ গ্রাম
২। চিনি: ১ কাপ
৩। খোয়া ক্ষীর: ১৫০ গ্রাম
৪। নলেন গুড়: ১ কাপ
৫। জল: ২ কাপ
৬। ঘি:১ চা চামচ
৭। এলাচ গুঁড়ো: ১/৪ চা চামচ
৮। কাজু, কিশমিশ, পেস্তা: পরিমাণ মতো
শীতে যে খাবারগুলির দিকে নজর সবচেয়ে বেশি থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল জয়নগরের মোয়া। ছবি: সংগৃহীত
প্রণালী:
১। একটি কড়াইতে আধ কাপ গুড় ও দেড় কাপ জল দিয়ে একসঙ্গে ফোটাতে হবে। যত ক্ষণ না রস গাঢ় হচ্ছে, তত ক্ষণ জ্বাল দিতে হবে।
২। গুড়ে একটু চিট ধরলে মিশ্রণ একটু ঠান্ডা করে নিন। এর পর খই দিয়ে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এর পর অন্য একটি পাত্রে বাকি আধ কাপ গুড় এবং আরও এক কাপ জল দিয়ে অল্প আঁচে ৫-৬ মিনিট ফুটিয়ে নিন। পাতলা রস তৈরি হলে নামিয়ে নিন।
৪। আগে থেকে তৈরি খইয়ের মিশ্রণের মধ্যে এই রস-এর থেকে অর্ধেকটা ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে দিন।
৫। ঢাকা অবস্থায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এতে খই নরম হয়ে যাবে।
৬। মাঝে এক ঘণ্টার মাথায় খই এর মধ্যে ১০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে হবে।
৭। মোয়া তৈরির আগে খইয়ে এলাচ গুঁড়ো আর ঘি ভাল করে মিশিয়ে মোয়ার আকারে মণ্ড গড়ে নিতে হবে। উপর থেকে কাজু, কিশমিশ,পেস্তা আর বাকি খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে দিলেই পরিবেশনের জন্য একেবারে তৈরি হয়ে যাবে জয়নগরের মোয়া।