কিমার কচুরি। ছবি: সংগৃহীত
বিকেলের চায়ের সঙ্গে মুখোরোচক স্ন্যাক্স না হলে ঠিক জমে না! কিন্তু রোজ রোজ চায়ের সঙ্গে নিত্যনতুন ‘টা’ জোগাতে হিমসিম খান অনেকেই। আর বাড়িতে খুদে সদস্য থাকলে তো কথাই নেই, তার মন জুগিয়ে চলা আরও কঠিন। বিকেলে জমজমাটি নাস্তার খোঁজ ভোজনরসিক বাঙালির অন্যতম প্রিয় শখ।
বাইরে থেকে কিনে আনা শিঙারা, আলুর চপ আর নয়। এ বার হেঁশেলেই বানিয়ে ফেলুন কচুরি। আর সেই কচুরির ভিতর যদি থাকে কিমার পুর, জমে যাবে সন্ধের আড্ডা! রইল কিমার কচুরির রেসিপির হদিস।
উপকরণ:
ময়দা: ২ কাপ
বেকিং সোডা: ১ চা চামচ
জোয়ান: ১/৪ চা চামচ
সিদ্ধ করা মুরগির কিমা: ১ কাপ
পেঁয়াজ: ১টা বড় (কুচনো)
আদা বাটা: ১ চা চামচ
রসুন বাটা: ১ চা চামচ
গুঁড়ো লঙ্কা: ১/২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টে (চেরা)
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
লেবুর রস: ১ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি: ১/৪ কাপ
নুন ও চিনি: স্বাদ মতো
তেল: ২ কাপ
প্রতীকী ছবি
প্রণালী:
ময়দা, নুন, বেকিং সোডা, জোয়ান ও সামান্য তেল দিয়ে ভাল করে মণ্ড বানিয়ে নিন। এ বার ভেজা কাপড় দিয়ে ময়দা মাখা জড়িয়ে রাখুন ২০-৩০ মিনিট।
কড়াইতে তেল গরম করে আদা ও রসুন বাটা দিন। সামান্য নাড়াচড়া করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট ভেজে লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। তারপর সেদ্ধ করা কিমা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নিন।
ময়দা মাখা ১০ টি ভাগে ভাগ করে নিন। ছোট ছোট লেচি কেটে লুচির আকারে বেলে নিন। এ বার কিমার পুর ভরে কচুরির ধারগুলি মুড়ে নিন। হাতের চাপে চ্যাপ্টা করে নিন। একদম কম আঁচে ডুবো তেলে ভাল মুচমুচে করে ভেজে তুলুন। টিস্যুতে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন। তেঁতুলের চাটনি, ধনেপাতার চাটনি বা টম্যাটো কেচাপ দিয়ে গরম গরম গরম পরিবেশন করুন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।