পটল আর ছানার যুগলবন্দিতেই জমবে ভোজ। ছবি: সংগৃহীত।
গরমকাল মানেই বাজারে গেলে চোখে পড়ে চারদিকে পটল আর পটল। তবে রোজ রোজ পটলের ঝোল আর ভাজা খেতে মোটেও ভাল লাগে না। পটল পোস্ত, দই পটলও অনেক হয়েছে। নিরামিষের দিনে পটল দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু একটি রেসিপি। দুপুরে গরম গরম ভাতের সঙ্গে ছানা পটল একেবারে জমে যাবে। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
৫টি পটল
২৫০ গ্রাম ছানা
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী নুন ও চিনি
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম বাটা
২ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা
১ টেবিল চামচ চারমগজ বাটা
৩-৪ টেবিল চামচ টক দই
১ টেবিল চামচ কিশমিশ কুচি
২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম কুচি
৪-৫ টেবিল চামচ নারকেল কোরা
২ টেবিল চামচ খোয়া ক্ষীর
৪টি চেরা কাঁচা লঙ্কা
১ টেবিল আদা বাটা
আধ কাপ টম্যাটো কুচি
আধ চা চামচ গোটা জিরে
১ টেবিল চামচ জিরে বাটা
৫ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ টেবিল চামচ ঘি
প্রণালী:
১) প্রথমে পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। তবে পুরোপুরি না ছাড়ালেই ভাল। এ বার ভিতরের বীজ চামচ দিয়ে কুরিয়ে বার করে নিন। সামান্য নুন ও হলুদ মাখিয়ে পটলগুলি ভেজে রাখুন।
২) এ বার পটলের পুর তৈরি করতে কুরিয়ে রাখা পটলের বীজ এবং লঙ্কা হালকা মিক্সিতে বেটে নিন।
৩) এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে বেটে রাখা পটলের দানা, ছানা, নারকেল কোরা, পোস্ত বাটা এবং অল্প খোয়া ক্ষীর দিয়ে শুকনো করে পুর তৈরি করুন। উপর থেকে কাজুবাদাম এবং কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।
৪) এ বার ভেজে রাখা পটলের মধ্যে ছানার পুর ভরে আটার গোলা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন।
৫) আর একটি একটি কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে গোটা জিরে আর কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। সামান্য আদা বাটা আর টম্যাটো কুচি দিয়ে কষিয়ে নিন। ভাল করে নাড়াচাড়া করে টক দই, কাজু বাদাম বাটা, চারমগজ বাটা দিয়ে আরও খানিক ক্ষণ কষিয়ে নিন। নুন, চিনি সামান্য জল দিয়ে ভাল করে ফোটান।
৬) ঝোল ফুটে এলে ভেজে তুলে রাখা পটলগুলি দিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে পটলের গায়ে মাখা মাখা হয়ে এলে গরম মশলা গুঁড়ো আর ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পোলাও কিংবা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ছানা পটল।