উৎসবের আবহে বাড়িতেও বানাতে পারেন রকমারি রান্না। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়ার আলাদা আয়োজন। নতুন জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা। এক দিন উত্তর তো, অন্য দিন দক্ষিণ। সপ্তমীর রাত। জমকালো পোশাকের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াতেও চাই উৎসবের ছোঁয়া। বৃষ্টি হতে পারে ভেবে অনেকেই সপ্তমীতে বাইরে খাওয়ার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রেখেছেন। ভূরিভোজ মানেই নামকরা কোনও রেস্তঁরায় গিয়ে পাত পেড়ে খাওয়া নয়, উৎসবের আবহে বাড়িতেও বানাতে পারেন রকমারি রান্না। উৎসব-উদ্যাপনে সপ্তমীর রাতে পাতে পড়ুক পাঠার মাংসের নল্লি নিহারি। কী ভাবে বানাবেন? রইল প্রণালী।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: ১ কেজি
পাঁঠার নলি: স্টক তৈরিক জন্য
পেঁয়াজ কুচি: এক কাপ
আদা বাটা: ২ চা চামচ
ঘি: ৩ টেবিল চামচ
সাদা তেল: ১ টেবিল চামচ
গোটা জিরে: ২ চা চামচ
ছোট এলাচ: ৬-৭টি
বড় এলাচ: ২টি
লবঙ্গ: ৭-৮টি
জয়িত্রী: ১টি
মৌরি: ২ চা চামচ
স্টার আনিজ: ১টি (মাঝারি মাপের)
গোটা গোলমরিচ: ৮-১০টি
শুকনো লঙ্কা: ৪-৫টি
দারচিনি: ১ টুকরো
হলুদ গুঁড়ো: ২ চা চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: ৩ চা চামচ
আটা: ১ কাপ
নুন: স্বাদ মতো
উৎসব-উদ্যাপনে সপ্তমীর রাতে পাতে পড়ুক পাঠার মাংসের নল্লি নিহারি। ছবি: সংগৃহীত
প্রণালী:
রান্না শুরুর আগে পাঁঠার নলিগুলি প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। গরম জলে নুন ও সামান্য তেল দিয়ে ১০-১২টি সিটি পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যত সেদ্ধ হবে স্টক তত ঘন হবে।
এ বার কড়াইয়ে তেল ও ঘি গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন। পেঁয়াজের রং সোনালি হয়ে এলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন।
মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে আগে থেকে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা মাংসের টুকরোগুলি দিয়ে যত ক্ষণ না দু’পিঠ বাদামি হচ্ছে ভাজতে থাকুন। ভাজ হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন।
অন্য একটি কড়াইয়ে গোটা মশলা শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে রাখুন। এ বার গুঁড়ো মশলা ৩-৪ কাপ জলে গুলে মাংসের মধ্যে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
মশলা মাখানো মাংস প্রেশার কুকারে স্টকে ঢেলে দিন। ১২-১৫টা সিটি পড়া না পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নয়তো মাংস সেদ্ধ হবে না।
নরম হয়ে গেলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট বসিয়ে রাখুন। ঝোল একটি ঘন হয়ে এলে তৈরি নল্লি নিহারি।