পুজোয় এ বার গন্ধরাজ রোল চেখে দেখবেন না কি? প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোর আমেজে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম লেগেই থাকে। ঠাকুর দেখার মাঝে টুকটাক মুখ না চালালে কী আর চলে? যাঁরা সারা বছর কড়া ডায়েটের মধ্যে থাকেন, তাঁরাও পুজোর পাঁচ দিন ডায়েটে বলেন ‘বাই বাই’!
পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোনো মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। আর স্ট্রিড ফুডের হাতছানিতে নিজেকে আটকে রাখা বড়ই মুশকিল। কোন কোন খাবার দু্র্গাপুজোয় মিস করলে চলবে না, রইল তার হদিস।
ফুচকা: কেউ বলেন পানিপুরি, কেউ বলেন গোলগাপ্পা। তবে কলকাতাবাসী ফুচকা নামের সঙ্গেই বেশি পরিচিত। ভিতরে ঝাল মশলাদার আলু মাখা, সঙ্গে তেঁতুলজল দেওয়া ফুচকা নিঃসন্দেহে আজও শহরের সেরা স্ট্রিটফুড। হালফিলে ফুচকা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও কম হচ্ছে না। দই ফুচকা, চিকেন ফুচকা, পিৎজ়া ফুচকা আরও কত কী! ছোট থেকে বড় যে কোনও মণ্ডপের বাইরে ফুচকার স্টল থাকবেই। আর সেই স্বাদ কিন্তু চেখে দেখতেই হবে।
কাঠি রোল: পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোবেন আর রোল খাবেন না সে আবার হয় না কি! কারও পছন্দ চিকেন রোল, কারও আবার এগ মটন না হলে মুখে রোচে না। ইদানীং আবার বাজারে গন্ধরাজ রোলের খুব চাহিদা! সেই রোল যদি এখনও না খেয়ে থাকেন, তা হলে এই পুজোয় এক বার চেখে দেখতেই পারেন, মন্দ লাগবে না!
স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুইয়ের মেলবন্ধন। প্রতীকী ছবি।
মোমো: বাঙালি এখন মোমোর প্রেমে মত্ত! পুজোয় মোমোটা কিন্তু খেতেই হবে। তাই প্যান্ডেলের বাইরে মোমোর স্টলে এক বার ঢুঁ মারতে পারেন। ফ্রায়েড হোক বা স্টিম কিংবা গন্ধরাজ— পুজোর আড্ডায় মোমো না থাকলে ব্যাপারটা ঠিক জমে না!
কবাব: আপনি কি খুবই স্বাস্থ্য সচেতন? পুজোতেও ডায়েটের সঙ্গে আপোস করতে নারাজ! তা হলে কিন্তু ঠাকুর দেখতে বেরোলে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে কবাব। ঠাকুর দেখতে দেখতে হালকা খিদে পেলে রেশমি হোক বা টিক্কা পছন্দ অনুযায়ী এক প্লেট কবাব খেয়ে নেওয়াই যায়!