চাল পটল রাঁধবেন কী ভাবে? ছবি: পিকচারনামা।
শীতকালে বাজারে যেমন কপির ছড়াছড়ি, গরমকালে আবার সেই জায়গা দখল করে পটল। প্রায় পুরো গরমকাল জুড়েই চলে পটলের মরসুম। পটল ভাজা, পটল দিয়ে মাছের ঝোল, আলু-পটলের ডালনা কিংবা দোলমা— সবই তো খেয়েছেন। কিন্তু চাল পটল চেখে দেখেছেন কি? চাঁদি ফাটা গরমে পটলের বীজে পাক ধরার আগেই এক দিন রেঁধে ফেলুন চাল পটল। কী ভাবে রাঁধবেন? রইল রেসিপি।
উপকরণ:
পটল: ৫০০ গ্রাম
আলু: ২৫০ গ্রাম
টোম্যাটো: ১ কাপ
গোবিন্দভোগ চাল: ১ কাপ
কাজুবাদাম: ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ: ২ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল: ৩ টেবিল চামচ
গোটা জিরে: ১ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
আদা বাটা: ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা: ১টি
তেজপাতা: ২টি
ছোট এলাচ: ২টি
লবঙ্গ: ২টি
দারচিনি: ১ ইঞ্চি
কাঁচালঙ্কা: ২টি
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী:
১) প্রথমে গোবিন্দভোগ চাল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এ বার জল ঝরিয়ে খোলা হাওয়ায় শুকোতে দিন।
২) আলু, পটলের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কাও কেটে রাখুন।
৩) ছোট একটি পাত্রে আদা, হলুন, ধনে, জিরে এবং লঙ্কা গুঁড়ো জল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে রাখুন।
৪) এ বার কড়াইতে তেল গরম করুন। তার মধ্যে কাজু, কিশমিশ ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলের মধ্যেই গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে অন্যত্র তুলে রাখুন।
৫) আরও কিছুটা সর্ষের তেল দিয়ে পটল ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলের মধ্যে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে তার মধ্যে দিয়ে দিন কেটে রাখা আলু।
৬) তেল ছাড়তে শুরু করলে টোম্যাটো এবং কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন। এ বার ভেজে রাখা কাজু, কিশমিশ এবং গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। নুন, চিনি দিন।
৭) সামান্য জল দিন এই সময়েই। চাল সেদ্ধ হলে উপর থেকে ভেজে রাখা পটলগুলো ছড়িয়ে দিন।
৮) নামানোর আগে গরম মশলা এবং ঘি ছড়িয়ে দিন।