খাঁটি কেশর চিনবেন কোন উপায়ে? ছবি: ফ্রিপিক।
বিরিয়ানি হোক বা মিষ্টি জাতীয় খাবার, এক চিমটে খাঁটি কেশর পদের স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বদলে দেয়। আবার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতেও রূপচর্চার জন্য কেশর বা জাফরান বেছে নেন অনেকে। কারণ বা উপলক্ষ যা-ই হোক না কেন, বুঝে নেওয়া দরকার জিনিসটি খাঁটি কি না।
এমনিতেই কেশর বা জাফরান বেশ দামি। এটি হল ফুলের পুংকেশর। মশলা হিসাবে রাজকীয় খানায় এর ব্যবহার। একে দাম বেশি, তার উপর চট করে পাওয়া যায় না বলে, জাফরান বা কেশরের নাম করে ভেজাল মেশানো হয়।
সাধারণত দুধে ভিজিয়ে কেশর ব্যবহার করা হয়। উষ্ণ দুধে ফেললেই তা রং বদলায়। তবে জানেন কি, যে কেশরটি দুধে দেওয়া মাত্র গুলে গিয়ে গাঢ় হলদেটে রং তৈরি করে, সেটি খাঁটি না-ও হতে পারে।
কী ভাবে চিনে নেবেন?
১. কেশর কেনার সময় প্রথমেই একটু হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে ঘষে দেখুন। যদি সঙ্গে সঙ্গে হলদে বা কমলা রং হয়ে যায়, বুঝতে হবে এটি খাঁটি নয়। আসল কেশরে কিন্তু চট করে হাত রঙিন হয়ে যাবে না।
২. ঠান্ডা জলে মিশিয়ে দেখুন। যদি কেশর উপরে ভাসতে থাকে এবং সময় নিয়ে একটু একটু করে রং ছড়ায় বুঝতে হবে, সেটি খাঁটি। ভেজাল কেশর চট করে জলে মিশে হলুদ বা কমলা রং তৈরি করবে।
৩. গন্ধেই কিন্তু আসল-নকলের ফারাক বোঝা যায়। মশলাটির গুরুত্ব তার গন্ধের জন্য। ভাল করে শুঁকে দেখুন, আসল কেশরের গন্ধ সব সময়েই আলাদা হবে। এতে ফুলের গন্ধ পাওয়া যায়।
৪. জলে মেশানো কেশর খেয়ে দেখুন। এর স্বাদ এবং গন্ধ—দুইই বোঝা যাবে। খাঁটি কেশরের স্বাদ কখনও নকলে মিলবে না।
৫. খাঁটি কেশরের লম্বা লাল ডাঁটির মতো অংশগুলি গাঢ় লাল হয়। নকল কেশর রং করা হয়। ফলে , ভাল ভাবে দেখলে রঙের তফাত হতে বাধ্য।