দীপাবলি, ভাইফোঁটার সন্ধেয় মুচমুচে স্ন্যাকস বানিয়ে সকলকে চমকে দিন। ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি। আলোর উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে পেটপুজোর আয়োজনও রাখতে হবে। হার্টের রোগ, ডায়াবিটিস, গ্যাস-অম্বল সামলে খুব বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে না। আবার বাইরে থেকে আনানো ভাজাভুজি বেশি না খাওয়াই ভাল। তাই ঘরেই বানিয়ে নিন স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাকস। নিরামিষ ও আমিষ মিলিয়ে মুচমুচে কিছু স্ন্যাকসের রেসিপি জেনে নিন।
কাচকির পুর ভরা লাউপাতার বড়া
কাচকি মাছের ভর্তা বানিয়ে তা লাউপাতায় মুড়ে গরম গরম বড়া ভেজে খাওয়ার মজাই আলাদা। ভাতের সঙ্গে যেমন ভাল লাগবে, তেমনই স্ন্যাকসের মতোও খাওয়া যাবে। বাইরে থেকে ফিশ ফ্রাই না কিনে বরং মা-ঠাকুমাদের রেসিপিতে তৈরি এই পদ চেখে দেখতেই পারেন।
মাছের পুর দেওয়া বড়া। ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
ডাঁটা সমেত লাউপাতা, ৭-৮টি, কাচকি মাছ ১৫০ গ্রাম, ১টি বড় পেঁয়াজ কুচোনো, রসুন কুচি ৬-৭টি কোয়া, কাঁচালঙ্কা কুচি ২টি, কালোজিরে ২ চা-চামচ, বেসন, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো ১ চামচ, হলুদ ২ চামচ, নুন স্বাদমতো।
প্রণালী
কাচকি মাছগুলিকে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নুন, হলুদ, সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখুন। লাউপাতা পরিষ্কার করে নিন। কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, নুন দিয়ে নেড়ে কাচকি মাছগুলি ছেড়ে দিন। মাঝারি আঁচে ভাল করে নেড়ে ঝুরো ঝুরো করে নিতে হবে। এ বার গ্যাস বন্ধ করে মাছের ঝুরো ঠান্ডা করে বেটে নিন। মিহি করে বাটতে হবে, যাতে পুরের মতো ব্যবহার করা যায়। এ বার বেসন, নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ ও কালোজিরে দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। লাউপাতায় কাচকির পুর ভরে চারপাশ মুড়ে বেসনের ব্যাটারে ডুবিয়ে ভাল করে তেলে ভেজে নিন। পুর ভরা পাতার দুই পিঠই মুচমুচে করে ভাজতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করুন।
ডাল-নারকেল বাটার শিঙাড়া
আলুর পুর ভরা শিঙাড়া তো অনেক খেয়েছেন। এ বার ডাল বাটা ও নারকেলের পুর ভরা শিঙাড়া খেয়ে দেখুন।
ডাল বাটা দিয়ে শিঙাড়া। ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
মুগ ডাল ১০০ গ্রাম, চিঁড়ে আধ কাপ, আটা ১ কাপ, চালের গুঁড়ো ২ চামচ, আদা বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা ২ চা-চামচ করে, পুর তৈরির জন্য নারকেল কোরা ২ কাপ, কাজু ও কিশমিশ কুচোনো ২ চামচ, সাদা তেল প্রয়োজন মতো।
প্রণালী
কড়াইয়ে তেল গরম করে নারকেল কোরা, কাজু, কিশমিশ দিয়ে কম আঁচে নেড়ে নিন। তাতে স্বাদ মতো চিনি দিতে হবে। ভাল করে পাক দিয়ে পুরের মতো তৈরি করতে হবে।
শিঙাড়ার উপরের খোলা তৈরি হবে ডালবাটা দিয়ে। তার জন্য শুকনো খোলায় মুগ ডাল ভেজে নিন। এ বার সেই কড়াইয়ে জল দিয়ে ডাল সিদ্ধ হতে দিন। প্রয়োজন মতো নুন, হলুদ, আদা বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা দিতে হবে। ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে চিঁড়ে, আটা মিশিয়ে শুকনো করে মণ্ড তৈরি করতে হবে। ঠান্ডা হলে মণ্ড থেকে লেচি কেটে বেলে নিয়ে তাতে পুর ভরে শিঙাড়ার আকারে গড়ে নিন। এ বার কড়াইয়ে সাদা তেল গরম করে শিঙাড়া ভেজে তুলুন।