কিনেয়া, বার্লি, ব্রাউন রাইস, ফারো হতে পারে ভাতের বিকল্প। ছবি: সংগৃহীত।
যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষ বিভিন্ন খাবার ও তার পুষ্টিগুণ নিয়ে সতর্ক হচ্ছেন। অনেকেই সুস্বাস্থ্যের দিকে পা বাড়াতে ভাতের বিকল্পও খুঁজতে শুরু করেছেন। বাঙালির খাবরের তালিকায় এত দিন মূলত ভাত থাকলেও, অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে তা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। তা ছাড়া, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ভাত খাওয়ায় মাপামাপির ব্যাপার থাকে।
ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ভাতের বিকল্প কী হতে পারে?
কিনোয়া- অত্যন্ত পুষ্টিকর কিনোয় ‘সুপার ফুড’ বলে পরিচিত। ফুলগাছের বীজ আসলে কিনোয়া। এটা গ্লুটেন ফ্রি। এটি কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি প্রোটিনও আছে প্রচুর। এত যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার ও অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। ফলে এটা ভাতের চেয়ে পুষ্টিগুণে অনেক এগিয়ে।
কলিফ্লাওয়ার রাইস –আসলে এটা ফুলকপি। নামে রাইস হলেও ভাত নয়। কাঁচা ফুলকপি গুঁড়ো করে তাতে নুন, রসুন, আদা গুঁড়ো ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে অল্প তেলে রান্না করে নেওয়া। ভাতের বদলে এই খাবারে বশে থাকবে ওজন, কারণ এটা ‘লো ক্যালোরি ফুড’।
বার্লি- আগে জ্বর হলে লোকে বার্লির জল খেত। সেই বার্লি এখন ভাতের বদলে খাওয়ার কথা হচ্ছে, কারণ হল তার পুষ্টিগুণ। ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ বার্লিতে রয়েছে সেলেনিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এটি এক ধরনের শস্য দানা। ভাতের মধ্যেই বার্লিও সেদ্ধ করে খাওয়া যায়।
ব্রাউন রাইস- স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন মানুষ এখন ভাতের বদলে ‘ব্রাউন রাইস’-এর দিকেই ঝুঁকছেন। কারণ এর পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। ফলে পেট ভরা থাকায় খিদের প্রবণতা কমে যায়। ভাতের বিকল্প তাই হতেই পারে ব্রাউন রাইস।
ফারো-এটাও শস্য জাতীয় খাবার। এর পুষ্টিগুণ অনেক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়াও আছে অন্যান্য খাদ্যগুণ।
এই প্রতিটা খাবরের যথেষ্ট পুষ্টিগুণ থাকলে প্রতিদিনের ডায়েটে তা অনুসরণ করার আগে কোনও পুষ্টিবিদ বা চিকিত্সকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া দরকার।