ক্যানসার থেকে শুরু করে নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে রাসায়নিক রং থেকে। ছবি: সংগৃহীত
রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে জাফরান বা কেশরের কোনও জবাব নেই। সামান্য কেশর যে কোনও রান্নায় এনে দেয় বাদশাহি আমেজ। জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলাগুলির মধ্যে অন্যতম। দাম অনেকটাই বেশি হলেও এর চাহিদা কিন্তু কম নয়। শুধু স্বাদ নয় কেশর পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ।
বাজার থেকে দাম দিয়ে যে জাফরান কিনে আনছেন সেটা আদৌ আসল তো? নাকি তাতে মেশানো হয়েছে কোনও রাসায়নিক রং— তা বুঝবেন কী করে?
ক্যানসার থেকে শুরু করে নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে রাসায়নিক রং থেকে। পুষ্টির কথা ভেবে যে সব খাবার খাবেন, তা যেন উল্টে স্বাস্থ্যে ক্ষতি না করে, সে খেয়াল তো রাখতেই হবে।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) সাধারণ মানুষের জন্য মশলায় ভেজাল শনাক্ত করা সহজ করার জন্য একটি উদ্যোগ চালু করেছে। এর অধীনে এফএসএসএআই প্রতি সপ্তাহে একটি ভিডিয়ো নিজেদের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে, যা আপনাকে খাবারে ভেজাল আছে কি না তা পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। সম্প্রতি এমনিই এক ভিডিয়োয় এফএসএসএআই কী ভাবে জাফরান আসল বা নকল তা শনাক্ত করবেন তার ফন্দি জানিয়েছে।
ভিডিয়োতে দেখানো হয়েছে দুটি গ্লাসে জল নেওয়া হয়েছে। জলের তাপমাত্রা ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি। একটি গ্লাসে আসল এবং অন্যটিতে নকল কেশর মেশানো হল। দেখা গেল প্রথম গ্লাসটিতে জলের মধ্যে ধীরে ধীরে হলুদ রং ছাড়তে শুরু করেছে। অন্য দিকে, অপর গ্লাসটিতে জাফরান জলে পড়া মাত্রই গাঢ় লাল রং ছাড়তে শুরু করেছে। আসল কেশর জলে মিশতে খানিকটা সময় নেবে এবং সেই জলের রং হবে মিষ্টি হলুদ।
এই ছোট পরীক্ষা করলেই আপনি বুঝে যাবেন যে আপনি বাজার থেকে যে জাফরান বা কেশরের প্যাকেটটি কিনে এনেছেন তাতে কোনও ভেজাল আছে কি না।