রেস্তরাঁর মতো চিনা খাবারের স্বাদ বাড়িতেই আনবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
চিনা পদ বানাতে খুব বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় না। চটজলদি কোনও পদ বানাতে হলে অনেকেই বাড়িতে চাউমিন, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন বানিয়ে ফেলেন। তবে রেস্তরাঁর সেই স্বাদ আর আসে কই! অনেকেই বলেন, আজিনামোটো দেওয়া হয় বলেই চিনা খাবারে স্বাদ আসে। কথাটি অবশ্য ভুল নয়। অনেকে বলেন এই উপাদানটি শরীরের পক্ষে ভাল নয়। রন্ধনশিল্পী অজয় চোপড়া কিন্তু বলছেন, মাঝমধ্যে আজিনামোটো খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেও ক্ষতিকর নয়। চিনা খাবার তো আমারা রোজ রোজ খাই না, তাই কখনও সখনও চিনা খাবার রান্না করলে এই উপাদানটি ব্যবহার করাই যায়। তবে কেবল আজিনামোটো নয়, পাঁচ টোটকা মেনে চললে চায়না টাউনের রেস্তরাঁর মতো চিনা খাবার আপনিও বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন।
১) নুডলস সেদ্ধ করার সময়ে বিশেষত রাইস নুডলস তৈরি করার সময়ে বেশ সমস্যা হয় অনেকের। গলে গেলে তা খেতে মোটেও ভাল লাগে না। এ ক্ষেত্রে ফুটন্ত জলে নুন আর সামন্য তেল দিয়ে নুডলস সেদ্ধ করে নিয়ে ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। অনেকেই ঠান্ডা জলে নুডলস ধুয়ে নেন। তবে এমনটা না করে জল ঝরানো নুডলস থালায় ছড়িয়ে তার উপর আরও খানিকটা তেল ছড়িয়ে দিন।
২) চিনা খাবার রান্নার সময় সব উপকরণ হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন। বিভিন্ন রকম সব্জি থেকে সস্— সব হাতের কাছে রেখে কড়াই খুব ভাল করে গরম করে নিয়ে রান্না শুরু করুন। ঢিমে আঁচে চিনা পদ রান্না করার ভুলটি করবেন না।
চিনা পদ রান্নার সময় সব্জিগুলি খুব বেশি ভেজে নিলে খেতে মোটেও ভাল লাগে না। ছবি: শাটারস্টক।
৩) আপনি চাইলে সাদা তেলে চিনা খাবার বানাতেই পারেন। তবে রেস্তরাঁগুলিতে কিন্তু চিলি ফিশ, মাঞ্চুরিয়ানের গ্রেভি বানানোর সময়ে তিল তেলের ব্যবহার করা হয়, এতে স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
৪) চিনা খাবারে রংবেরঙের সব্জি বেশি ব্যবহার করা হয়। চাইনিজ় ক্যাবেজ, পকচয়, রঙিন বেলপেপার, পেঁয়াজ— চিনা পদ রান্নার সময় এই সব সব্জিগুলি খুব বেশি ভেজে নিলে খেতে মোটেও ভাল লাগে না। সব্জিগুলি যাতে আধসেদ্ধ থাকে, সে দিকে নজর দিতে হবে।
৫) বেশির ভাগ চিনা রান্নাতেই সয়া সস্ ব্যবহার করা হয়। এই সস্ প্রচণ্ড অ্যাসিডিক প্রকৃতির হয় ও এতে নুনের মাত্রা ভাল পরিমাণে থাকে। তাই চিনা খাবার তৈরিতে সয়া সস্ ব্যবহার করার সময়ে দু’–চার দানা চিনি দিয়ে দিলে রান্নার স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।