৫ স্বাস্থ্যকর মিষ্টি বানিয়ে চমকে দিন ভাইকে। ছবি: শাটারস্টক।
উৎসব মানে তো শুধু হুল্লোড় নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়াও। রাখিবন্ধনেও বাঙালির ঘরে ঘরে হয় দারুণ ভোজের আয়োজন। কেউ বাড়িতে, কেউ আবার রেস্তরাঁয় গিয়ে ইদানীং ভাইকে নিয়ে এলাহি কায়দায় খাওয়াদাওয়া সারেন। তবে মিষ্টিমুখ ছাড়া কিন্তু কোনও উৎসবই পালিত হয় না। এখন অবশ্য সবাই কমবেশি স্বাস্থ্যসচেতন। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলেন। আপনার ভাইও কি ওজন নিয়ে খুঁতখুঁতে? তা হলে রাখি উপলক্ষে এমন মিষ্টি বানিয়ে ফেলুন, যা খেলে ওজন বাড়বে না মোটেই। কী কী মিষ্টি রয়েছে সেই তালিকায়, রইল হদিস।
ওট্স ফাজ: আধ কাপ ওট্স এবং এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ একটি কাচের জারে ভরে নিন। এক-আধ কাপ দুধ মিশ্রণে দিয়ে দিন। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার ও এক টেবিল চামচ মেপল সিরাপ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কাচের বয়ামে ঢাকনা লাগিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। পছন্দের ফল ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ভাইয়ের সামনে।
রাগি হালুয়া: প্রথমে কড়াইতে সামান্য ঘি দিন। ঘি গরম হলে তার মধ্যে একটি ছোট এলাচ থেঁতো করে দিয়ে দিন। এ বার ঘিয়ের মধ্যে রাগির আটা দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে নিন। ভাজার সুন্দর গন্ধ বেরোতে শুরু করলে তার মধ্যে দুধ ঢেলে দিন। ফুটতে শুরু করলে বাদাম কুচি এবং গুড় দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। সমস্ত উপকরণ ভাল ভাবে মিশে গেলে ঘনত্ব বুঝে নামিয়ে নিতে হবে।
ওট্স লাড্ডু। ছবি: শাটারস্টক।
ওট্স লাড্ডু: প্রথমে কড়াইতে ওট্স হালকা নাড়াচাড়া করে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। এ বার কড়াইতে সামান্য ঘি গরম করুন। এক এক করে বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ নাড়াচাড়া করে তুলে রাখুন। খেজুরের বীজ ছাড়িয়ে মিক্সিতে বেটে নিন। এ বার একটি পাত্রে ওট্স, বাদাম, বীজ, খেজুরের পেস্ট এবং সামান্য গুড় দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। হাতের তালুতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন। এ বার ওই মণ্ড থেকে এক এক করে লাড্ডু বানিয়ে নিলেই কাজ শেষ।
মাখা সন্দেশ: দুধে লেবু চিপে ছানা বানিয়ে নিন ঘরেই। এ বার এই ছানা মেখে নিয়ে তাতে কয়েক চামচ মধু কিংবা ঝোলা গুড় মিশিয়ে নিন। সঙ্গে আমন্ড, কাজু, কিশমিশ, আখরোট কুচি ইত্যাদি মিশিয়ে দিন। এটি খেলে পেট ভরা থাকবে যেমন, তেমনই মিষ্টি খাওয়ার সাধও মিটবে।
মিষ্টি মাখানা: কড়াইতে ঘি দিয়ে মাখানাগুলি লালচে করে ভেজে নিন। এ বার একটি পাত্রে গুড় গরম করে তাতে সামান্য নারকেল কোরা ও সাদা তেল মিশিয়ে মাখানাগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার একটি থালায় এক একটি করে মাখানা তুলে দূরে দূরে রাখুন। ঠান্ডা হতে দিন। ঘণ্টাখানেক পরেই খেতে পারবেন মিষ্টি মাখানা।