তালশাঁস চিংড়ির যুগলে জমে যাক রবিবারের দুপুর।
১৬৭৪ সালে ফরাসিরা পুদুচেরিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পত্তন করে ব্যবসা শুরু করে। অবশ্য তারও অনেক আগে খৃস্টের জন্মের প্রায় ৩০০ বছর আগে সমুদ্র পথে রোমানরা এসে পৌঁছয় সমুদ্র পারের ছিমছাম সুন্দর শান্ত গ্রামে। এই কারণেই এখানকার খাবারে আছে নানা বৈচিত্রের ছোঁয়া। ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক শেফ বাপ্পা কুণ্ডুর কথায়, তামিল খাবারে ফরাসি ছোঁয়া এখানকার খাবারের প্রধান বৈশিষ্ট।
সমুদ্রের পারে বলে নানা পদে ব্যবহার করা হয় নারকেল। সি ফুডের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের প্রিয় চিংড়ি। শেফ বাপ্পা কুণ্ডু এক অসাধারণ ফিউশন ফুডের রেসিপি দিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য। তালশাঁসের সঙ্গে চিংড়ির যুগল, এর সঙ্গে আছে ঘন মিষ্টি নারকেলের দুধ আর কাজুর মেলবন্ধন। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই ফিউশন পদ রোজকার একঘেয়ে মেনুতে অন্য মাত্রা এনে দেবে। অসাধারণ স্বাদু এই পদ গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ জমেও যাবে। নিউ মার্কেটে পাবেন, আর একটু কষ্ট করে খুঁজলে আশ্বিনের দিনেও পেয়ে যাবেন তালশাঁস। ঝটপট বানিয়ে ফেলুন পুদুচেরির ফিউশন কারি তালশাঁস চিংড়ির যুগল।
উপকরণ
মাঝারি চিংড়ি– ২০০ গ্রাম
(পরিষ্কার করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে)
তালশাঁস– ৫ টি, কিউব করে কেটে রাখা
টাটকা ভাঙা কাজু – ১০০ গ্রাম
বড় নারকেল–আধ মালা,
মিহি করে কুচানো পিঁয়াজ– ২০০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা– ৫/৬ টি
কারি পাতা ও ধনে পাতা– অল্প
হলুদ– ১ চামচ
ধনে– ১ চামচ
আদা কুচি– ১/২ চামচ
মৌরি– ১/২ চামচ
ঘি– ৪ বড় চামচ
দারচিনি– ২টি স্টিক
নুন– স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী: নারকেল কুরে গরম জলে ভিজিয়ে দুধ বের করে রাখুন। হলুদ, ধনে, মৌরি একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে বেটে নিন। লঙ্কা মিহি করে কুচিয়ে রাখতে হবে।
তাওয়ায় ঘি দিয়ে দারচিনি, কারিপাতা ও লঙ্কা দিয়ে সুগন্ধ বেরলে পিঁয়াজ কুচানো দিয়ে লালচে করে ভেজে নিন। এ বারে এর মধ্যে চিংড়ি দিয়ে ভেজে নিয়ে সব মশলার পেস্ট ও নুন দিয়ে ঢিমে আঁচে কষতে হবে। এর পর দিতে হবে তালশাঁসের কিউবগুলি। এ গুলি থেকেই জল বেরবে। দরকার হলে খুব অল্প জল দেবেন যাতে মশলা পুড়ে না যায়। কষা হয়ে গেলে নারকেলের দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। গ্রেভি ঘন হলে নামিয়ে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।