স্বাস্থ্যকর এই পদ বানিয়ে ফেলুন সহজেই।
তরমুজ খেতে কে না ভালবাসে। এতে আছে প্রচুর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। সাধারণত, তরমুজের লাল, মিষ্টি অংশটি খেয়ে সাদা অংশটি ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই জানি না, ফলের এই সাদা অংশটিও কিন্তু একইরকম পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু। তরমুজের খোসা ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম নিরামিষ এবং আমিষ পদ তৈরি করা যায়। চিংড়ির সঙ্গে এই ফলের খোসা দিয়ে একটি চমৎকার পদ রান্না করা যায়। স্বাস্থ্যকর এই পদ মুখরোচক চিংড়ির সন্ধান দিলেন পুষ্টিবিদ সাগরিকা চক্রবর্তী।
উপকরণ
একটি মাঝারি আকারের তরমুজের খোসা (ছোট ছোট করে কাটা): ৩ কাপ
আলু (ডুমো ডুমো করে কাটা): ১ কাপ
পেঁয়াজ (মিহি করে কুচানো): আধ কাপ
টোম্যাটো (কুচানো): আধ কাপ
ছোট চিংড়ি: ২৫০ গ্রাম
সর্ষের তেল: ২ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৪-৫ টা
রসুন বাটা: ১০টি কোয়া
আদা বাটা: এক চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
নুন : স্বাদ মতো
প্রণালী: চিংড়ি ধুয়ে নুন, হলুদ আর লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তরমুজের খোসার বাইরের সবুজ অংশটি ফেলে দিয়ে, সাদা অংশটি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। অন্যান্য সব্জিগুলোও কেটে নিন।
এবার সর্ষের তেল গরম করে চিংড়িটা হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। আলু ভেজে নিন। এতে রসুন কুচি দিয়ে এক মিনিট নাড়তে হবে। তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিন। এবার টোম্যাটো কুচি দিয়ে ২ মিনিট রান্না করুন। এরপর আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়োর মিশ্রণ দিয়ে, তেল আলাদা না হওয়া পর্যন্ত ২-৩ মিনিট ধরে নাড়তে হবে।
তারপর তরমুজের খোসা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট ধরে রান্না করুন। এখন ভাজা চিংড়িটা দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন, তৈরি চিংড়ির বিশেষ পদ। ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন মুখরোচক চিংড়ি।