বাচ্চারাও মহানন্দে খাবে এই পদ।
লক ডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভাঁড়ারে টান, বাইরে যাওয়া মানা। বাড়িতে থাকা আনাজের ঝুড়ি থেকে পাওয়া কিছু সাধারণ উপকরণ আর ডিম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ইজরায়েলের সিগনেচার ডিশ শাকসুকা। আদতে লেবানিজ খাবার শাকসুকা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের মন জয় করে নিয়েছে। ডিম টম্যাটোর যুগলবন্দী এই ইজরায়েলি খানা ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ ডিনার সবের জন্যেই ইয়ামি।
উপকরণ
টম্যাটো – ৬/ ৭ টা
রসুন কুচি – ৩ চামচ,
পেঁয়াজ কুচি – আধ কাপ,
লাল ক্যাপসিকাম- আধখানা,
পেঁয়াজ ও রসুন পাতা কুচি – ২ চামচ,
পার্সলে বা ধনে পাতা কুচি – ১ চামচ,
নুন, কাঁচা লঙ্কা – স্বাদ অনুযায়ী,
চিজ কোরানো – ২ চামচ,
মাখন – ১/২ চামচ
চিনি – সামান্য,
গোলমরিচ গুড়ো – ১ চামচ,
ডিম – ৪ টে
প্রণালী
প্যানে সামান্য মাখন দিয়ে গরম করে তার মধ্যে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। ট্র্যান্সপারেন্ট হয়ে গেলে কুচনো টম্যাটো দিয়ে নুন মিশিয়ে আঁচ কমিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেক পরে লাল ক্যাপসিকামের টুকরো দিন। না থাকলে সবুজ ক্যাপসিকাম বা বিনসের কুচিও দিতে পারেন। কাঁচা লঙ্কা কুচি ও সামান্য মরিচ দিয়ে নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে চিনি দিয়ে নেড়ে নিন, অল্প কোরানো চিজ যোগ করুন। এবারে ডিম আস্তে করে মাঝখান থেকে ফাটিয়ে পোচের মত টম্যাটো গ্রেভির ওপরে ছেড়ে দিন। সাবধানে দেবেন, যেন কুসুম ঘেঁটে না যায়। পোচের মতো পর পর চারটে ডিম টম্যাটো গ্রেভির উপরে দিয়ে আঁচ কমিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট পর চাপা খুলে কোরানো চিজ, পার্সলে বা ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ ও রসুন শাক ছড়িয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই পদ জলখাবারে খেতে পারেন, রাত্রে রুটি দিয়েও জমে যাবে।
ধনে পাতা বা পার্সলে না থাকলেও চিন্তা নেই, লাল নটে শাক কিংবা পালং শাকের কুচিও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নামানোর আগে শাকের কুচি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখলে ভাপে সেদ্ধ হয়ে যাবে। ক্যাপসিকামের পরিবর্তে ঝিঙে পাতলা করে কেটে ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চারাও মহানন্দে খাবে।
সৌজন্য – মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএইচএম, পণ্ডিচেরি।