ছবি- সংগৃহীত
পুজোর চার দিন পাড়ায়-বেপাড়ায় সর্বত্র নানা রকম আমিষ খাবারের হাতছানি। কিন্তু বাড়ির নিয়ম, ওই কটা দিন নিরামিষ খেতেই হবে। রোজ রোজ খিচুড়ি, লাবড়া, পাঁপড় ভাজা, আর চাটনি কত খাওয়া যায়? স্বাদ বদল হবে মোতি পোলাও দিয়ে। বাদশাহী আমেজও থাকবে, আবার একটু অন্য রকম নিরামিষ রান্নাও হবে।
কিন্তু মোতি পোলাও বানাবেন কী ভাবে? রইল প্রণালীর হদিস।
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল: ৫০০ গ্রাম
কেশর: ৫ গ্রাম
দুধ: ১ লিটার
লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
ময়দা: ১ টেবিল চামচ
ঘি: ৫ টেবিল চামচ
সাদা তেল: ৩ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
ছোট এলাচ: ৫-৬টি
লবঙ্গ: ৫-৬টি
দারচিনি: ১টি
তেজপাতা: ২টি
আদাবাটা: ২ চা চামচ
কাজু: ৫ টেবিল চামচ
কিসমিস: ৫ টেবিল চামচ
হলুদ রং
রুপোর তবক
ছবি- সংগৃহীত
প্রণালী:
মোতির জন্য প্রথমে গরম দুধে লেবুর রস দিয়ে কাটিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। দেখবেন, ছানাতে যেন লেবুর গন্ধ না থাকে।
ওই ছানার মধ্যেই অল্প নুন, চিনি, গরম মশলা গুঁড়ো এবং ময়দা দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। মাখার উপর নির্ভর করবে মোতির গা কতটা মসৃণ হবে। মাখা হয়ে গেলে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিন।
এর পর কড়াইতে সাদা তেল গরম করে ছানার বলগুলি ভেজে তুলে রাখুন।
ওই তেলের মধ্যেই অল্প ঘি দিয়ে কাজুবাদাম এবং কিসমিসগুলি হালকা করে ভেজে নিন।
পোলাও বানানোর জন্য প্রথমে একটি বাটিতে গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে, জল বদলে দু’-তিন বার ভাল করে ধুয়ে নিন। শেষ বার ধোয়ার পর, ভাল করে জল ঝরিয়ে আর একটি বাটিতে তুলে রাখুন।
এর পর ওই ভেজানো চালের মধ্যে একে একে নুন, ঘি, খাওয়ার হলুদ রং এবং আদাবাটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। ওই অবস্থায় রেখে দিন এক ঘণ্টা।
এ বার কড়াইতে তিন টেবিল চামচ ঘি দিন। ঘি গরম হলে তাতে ফোড়ন হিসাবে দিন ছোট এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি এবং তেজপাতা।
একটু নাড়াচাড়া করে ওই মেখে রাখা চাল কড়াইয়ে দিয়ে দিন।
চাল একটু ভাজা হয়ে এলে জল মেশান।
জল এবং দুধের মোট পরিমাণ হবে চালের পরিমাপের দ্বিগুণ।
চাল একটু সেদ্ধ হয়ে এলে দু’কাপ দুধ দিয়ে, সেদ্ধ হতে দিন।
৮০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে একে চিনি, ভেজে রাখা কাজু বাদাম, কিসমিস দিয়ে আবার একটু নাড়াচাড়া করুন।
জল পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে, নামানোর আগে দুধে ভেজানো জাফরান আর ঘি ছড়িয়ে দিন।
একদম শেষে আগে থেকে ভেজে রাখা ছানার বলগুলি তবকে জড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মোতি পোলাও।