পুজোর মরসুমে বিরিয়ানিতে পড়ুক ইলিশ। ছবি সৌজন্যঃ শৌভিক দেবনাথ।
পুজো আসছে। এক বছরের প্রতীক্ষার অবসান। সারা বছর বাঙালি প্রহর গোনে এই উৎসবের। বাঙালির আনন্দ-উৎসবের অপরিহার্য একটি অঙ্গ খাওয়াদাওয়া। পুজোয় জমিয়ে পেটপুজো হবে না, তা কী করে হয়! উৎসবের আবহে একটু স্বাদ বদলের ইচ্ছে হয় সকলেরই। বর্ষা যাব যাব করলেও, ইলিশ কিন্তু বাজার থেকে যায়নি। পুজোয় জমিয়ে খেতে পারবেন ইলিশ। ইলিশের পদ মানেই মাথায় আসে পাতুরি নয়তো ভাপা। সারা বছর তো সে সব খেয়েই থাকেন। পুজোর মরসুমে বিরিয়ানিতে পড়ুক ইলিশ। ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ইলিশ বিরিয়ানি। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
বাসমতি চাল: ১ কেজি
ইলিশ মাছ: ১০ টুকরো
ধনে গুঁড়ো: ২ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ২ চা চামচ
টক দই: ১৫০ গ্রাম
রসুন বাটা: ২ চা চামচ
আদা বাটা: ২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা: আধ কাপ
লঙ্কা বাটা: আধ কাপ
গরমমশলা গুঁড়ো: দেড় চা চামচ
ভেজানো কাঠবাদাম: ২ চা চামচ
নুন: পরিমাণ মতো
ঘি: ৫০ গ্রাম
গোলাপ জল: ২ টেবিল চামচ
কেওড়া জল: ১ চা চামচ
পাতিলেবু: ১টি
কাজু এবং কিশমিশ: আধ কাপ
টম্যাটো বাটা: ২ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে চাল ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ইলিশের টুকরোগুলিও ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে লেবুর রস, টম্যাটো বাটা এবং পরিমাণ মতো নুন দিয়ে মাছগুলি ম্যারিনেট করে রাখুন।
হাড়িতে জল গরম করতে বসান। ফুটে উঠলে জলে অল্প নুন দিয়ে চালগুলি সিদ্ধ করতে দিন। সিদ্ধ হয়ে এলে ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন।
একটি পাত্রে ভাতগুলি ঢেলে তার উপরে সাজিয়ে দিন আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা মাছগুলি। উপরে কাঁচালঙ্কা, কাজু, কিশমিশ, তেল ও ঘি ছড়িয়ে দিন। এ বার হাঁড়ির মুখ আটার ঘন মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে আটকে দিন, যাতে হাঁড়ির ভাপ বাইরে বেরোতে না পারে। ৫ মিনিট মতো মাঝারি আঁচে রাখুন। তার পর আঁচ কমিয়ে দমে রাখুন আরও ৩০ মিনিট। তাওয়া গরম করে তার উপর আরও ২০ মিনিট রেখে গ্যাস নিভিয়ে দিন।
বিরিয়ানির পাত্রটি সুবিধামতো নেড়েচে়ড়ে নিন। যাতে মাছ এবং মশলা, ভাতের সঙ্গে সমান ভাবে মিশে যায়। ঠান্ডা হয়ে গেলে খেতে ভাল লাগবে না। তাই গরম গরম পরিবেশন করুন ইলিশের বিরিয়ানি।