স্যালাড ড্রেসিং করতেও কাজে আসে নষ্ট দুধ। ছবি: সংগৃহীত
অনেক সময় বাড়িতে সদ্য কিনে আনা দুধ ফোটাতে গিয়ে কেটে যায়। কখনও আবার বাড়িতে থাকা দু’-এক দিনের পুরনো দুধও কেটে যায়। এমন অবস্থায় সেই কেটে যাওয়া দুধ ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।
অনেকেই অবশ্য সেই দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করে নেন। ছানা দিয়েই বানিয়ে ফেলেন কোফতা কারি কিংবা হরেক রকম মিষ্টি। তবে জানেন কি, এই নষ্ট দুধ গৃহস্থলীর অনেক কাজে লাগে?
১) নষ্ট দুধ দিয়ে আপনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিজ। দুধ ছানা কাটতে শুরু করলে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। এর পর দেখবেন জল আর চিজ আলাদা হয়ে গিয়েছে। চিজ গরম জল থেকে তুলে নিয়ে নুন জলে ভাল করে ধুয়ে নিন, যাতে ভিনিগারের টক ভাব কেটে যায়। এ বার জল থেকে তুলে নিয়ে সেলোফিন র্যাপে মুড়ে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মোজ্জারেলা চিজ।
২) স্যালাড ড্রেসিং করতেও কাজে আসে নষ্ট দুধ। তবে মাথায় রাখতে হবে প্যাকেটের দুধ দিয়ে তা হবে না।
প্রতীকী ছবি
৩) এমনকি, কেটে যাওয়া দুধ থেকে তৈরি হতে পারে কেক বা প্যানকেক। দুধের ফেটে গেলে ফেলে না দিয়ে জিভে জল আনা মিষ্টি তৈরি করে ফেলতে পারেন।
৪) গাছের পরিচর্যাতেও আমরা এই দুধ ব্যবহার করতে পারি। নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ সার হিসেবে খুব ভাল কাজ দেয়। এই দুধ গাছের গোড়ায় দিলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।
৫) ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্যও কেটে যাওয়া দুধ দারুণ উপকারী। এটি ফেসপ্যাকের মতো মুখে লাগিয়ে নিন। তার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
৬) বাড়িতে বিড়াল থাকলে তাকেও দিতে পারেন এই দুধ। দুধ এমনিতেই বিড়ালদের খুব প্রিয়। আমরা কেটে যাওয়া দুধ না খেতে পারলেও বিড়ালদের কোনও অসুবিধা হয় না। বরং, কেটে যাওয়া দুধের গন্ধ ওদের বড়ই প্রিয়। এক বার দিয়েই দেখুন না, পোষ্য বিড়ালটি চেটেপুটে খেয়ে ফেলবে।