নুড্ল সিদ্ধ করে জল ফেলে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত
রবিবার সকালে অনেক বাঙালি বাড়িতেই চাউমিন খাওয়ার চল রয়েছে। আবার বাচ্চাদেরও মাঝেমাঝেই টিফিনে চাউমিন বানিয়ে দেওয়া হয়। চাউমিন সেদ্ধ করার পর আমরা সকলেই প্রায় জলটি ছেঁকে ফেলে দিই। কিন্তু যদি ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে সেই জল জমিয়ে রেখে দেন, তা হলে নানা কাজে লাগাতে পারবেন পরে। সেগুলি কী জেনে নিন—
পিৎজার ময়দা মাখতে
বাড়িতে পিৎজা বানিয়ে খান মাঝেমাঝেই। পিৎজার ময়দা মাখার সময়ে যদি নুন আর তেল মিশানো চাউমিন সেদ্ধ করা জলটি ব্যবহার করেন, তা হলে পিৎজার রুটি হবে তুলেতুলে নরম।
স্যুপ বানানোর সময়ে
শীতের সব্জি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে ঠান্ডার সময়ে ভালই লাগে। আবার অনেকে তাতেই মুরগির মাংস যোগ করে চিকেন স্যুপও তৈরি করেন। স্যুপ যে রকমই হোক, স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করুন চাউমিনের জল।
স্যুপ বানাতে কাজ লাগান চাউ সিদ্ধ করা জল। ছবি: সংগৃহীত
মশলা কষাতে
যে কোনও রান্নায় আমরা মশলা কষিয়ে নিই। অনেক সময়ে মশলা একটু বেশি শুকিয়ে গিয়ে কড়াইয়ে যখন লেগে যায়, তখন আমরা খানিক জল দিয়ে সেটা আবার ঠিক করে নিই। সেটা সাধারণ জলের বদলে যদি চাউমিন সেদ্ধ করা জল ব্যবহার করেন, তা হলে ঝোল অনেক বেশি সুস্বাদু হতে পারে।
পিৎজ্জার ময়দা মাখতে ব্যবহার করুন চিউমিন সিদ্ধ করা জল।
ভাত সেদ্ধ করতে
ভাত রান্না করার সময়ে শুধু জলের বদলে যদি চাউমিন সেদ্ধ করা জল ব্যবহার করেন, তা হলে অনেক তাড়াতাড়ি ভাত রান্না হয়ে যাবে। পাশাপাশি ভাতের স্বাদেও সামান্য বদল আসবে।
ডাল নরম করতে
যে কোনও ডাল রান্না করার আগে আমরা ভাল করে ধুয়ে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখি। মটর ডাল বা ছোলার ডালের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি ক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়। এই ডালগুলি এমনিতে বেশ শক্ত এবং সেদ্ধ হতেও অনেক সময় লাগে। যদি সাধারণ জলের বদলে চাউমিন সেদ্ধ করা গরম জলে ডাল ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে ডাল রান্না করতে বেশি ক্ষণ সময় লাগবে না।