সময় যত পেরিয়েছে, রেস্তরারঁ মেনুতেও এসেছে পরিবর্তন। নিজস্ব চিত্র।
সালটা ১৯৯৩। শহর কলকাতায় তখনও ব্যাঙের ছাতার মতো বাঙালি খাবারের রেস্তরাঁ গজিয়ে ওঠেনি। বাঙালি ভোজ বলতে মায়ের হাতের আলুপোস্ত, কষা মাংস, এঁচোড় চিংড়িই ভরসা। ঠিক সেই সময়ে জন্ম ‘আহেলির’। খাঁটি বাঙালি খাবারের রেস্তরাঁ। পথচলার সেই শুরু। তার পর চোখের নিমেষে পেরিয়ে গিয়েছে তিন দশক। চলতি সপ্তাহের ১৮ মে বাঙালি খানার এই রেস্তরাঁ পা দিল ৩০ বছরে।
সময় যত পেরিয়েছে, রেস্তরারঁ মেনুতেও এসেছে পরিবর্তন। রুই মাছের পাটিসাপটা থেকে পুর ভরা ভেটকি, কোচবিহারি চিংড়ি পোলাও থেকে মুর্শিদাবাদি মাংস— সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংযোজন হয়েছে নানা নতুন পদের। এই পদগুলি মন কেড়ে নিয়েছে ভোজনরসিকদের। এমন কিছু পদের টানেই এখানে এসেছেন খাদ্যপ্রেমীরা। রেস্তরাঁর ৩০ বছর উপলক্ষে তাই সেই সব পদ নতুন করে ফিরে দেখার আয়োজন করেছে রেস্তরাঁ। এ ছাড়াও বিশেষ ভূরিভোজ থালি, ইলিশ এবং চিংড়ির রকমারি পদ তো থাকছেই।
রেস্তরাঁর সঙ্গে সম্পর্ক অল্প দিনের হলেও ‘ফিরে দেখা’ পরিকল্পনার অন্যতম কাণ্ডারি রন্ধনশিল্পী সৌম্যদীপ দত্ত। তিনি বলেন, ‘’৩০ বছর ধরে মেনুতে নানা পরিবর্তন এসেছে। অনেক নতুন খাবারের সংযোজন হয়েছে। চেনা খাবার অচেনা ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। এই তিন দশক পেরিয়ে আমাদের মনে হল, এক বার পিছনে ফিরে দেখা জরুরি। আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা। সেই কারণে পুরনো পদ দিয়ে নতুন করে থালি সাজানো হয়েছে।’’
রেস্তরাঁর জন্মদিন, তাই গ্রাহকদের জন্য থাকছে বিশেষ উপহার। ২৪ মে পর্যন্ত সব ধরনের থালিতে থাকছে ৩০ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়া কয়েক দিন পরেই জামাইষষ্ঠী। বাঙালির বিশেষ এই উৎসব উপলক্ষে থাকছে ‘জামাইষষ্ঠী স্পেশাল থালি’।