সুগারের রোগীদের মিষ্টিমুখ করাতে বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর মিষ্টি। ছবি: সংগৃহীত।
বছরভর এক রকম। তা বলে উৎসব অনুষ্ঠানেও পাতে মিষ্টি পড়বে না? এমনিতেই চেয়েও মিষ্টি খেতে না পাওয়ার কষ্টটা ভালই বোঝেন ডায়াবিটিস রোগীরা। প্রিয় মানুষটিকে মিষ্টি দিতে না পারায়, কষ্ট হয় বাড়ির অন্যদেরও। কিন্তু সকলেই বলবেন একটাই কথা, ভালর জন্যেই তো এমনটা করা।
তবে চাইলে সুগারের রোগীকেও মিষ্টি দিতে পারেন। শুধু তা তৈরি করতে হবে একটু অন্য ভাবে, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে। এই একই মিষ্টি বাড়ির সকলে খেলে শরীর ভাল থাকবে সকলেরই।
খেজুর-বাদামের রোল
খেজুর ভিটামিন, খনিজে ভরপুর। এতে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব। খেজুরের সঙ্গে মেশাতে হবে আখরোট, পেস্তার মতো ড্রাই ফ্রুটস। ড্রাই ফ্রুটসে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, শরীর ভাল রাখতে যা জরুরি।
ভাল মানের খেজুর থেকে বীজ বার করে তা মিক্সিতে বেটে নিন। মিশিয়ে নিন সামান্য নুন। এ বার এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে কুচোনো বাদাম। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে রোলের আকার দিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন নারকেলের গুঁড়ো।
শুধু সুগারের রোগী নন, ওজন নিয়ে যাঁরা সচেতন, তাঁরাও মিষ্টি খান না। উৎসবের দিনে তাঁরাও এ ভাবে মিষ্টি খেতে পারেন।
আপেলের হালুয়া
আপেল খাওয়ায় সুগারের রোগীদের কোনও নিষেধ নেই। আপেলের মধ্যেও প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব থাকে। তাই আপেলের হালুয়া হয়ে উঠতেই পারে উৎসবের মিষ্টি।
আপেল প্রথমে কুরিয়ে নিতে হবে। তার পর কড়াইতে সাদা তেলের সঙ্গে একটু ঘি দিয়ে কুরিয়ে নেওয়া আপেল ভাল করে নাড়া-চা়ড়া করে নিন। আপেল নরম হয়ে এলে দিন দুধ। মিশিয়ে দিন সামান্য দারচিনি গুঁড়ো, স্বাদমতো স্টিভিয়া গুঁড়ো। এটি একটি গাছের পাতা। এই পাতা চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। তবে, এটি চিনির মতো ক্ষতিকর নয়। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আপেলের হালুয়া।
বেকড বেসন লাড্ডু
কড়াইতে তেল বা ঘি দিয়ে বেসন ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। তবে, ঘি বা তেলের পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। বেসনের মধ্যে স্বাদের জন্য দিন সামান্য থেঁতো করা এলাচ। এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন শুকনো খোলায় নেড়ে নেওয়া কাজু, কাঠবাদামের কুচি। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়িয়ে নিন। মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য দিতে পারেন স্টিভিয়ার গুঁড়ো। এ বার গোল করে লাড্ডুর আকার দিয়ে নিলেই হবে।