এক পদেই ভূরিভোজ। স্বাদ বদলে খেয়ে দেখুন জাম্বালায়া। ছবি: সংগৃহীত।
ঘর-বার সামলে কি প্রতিদিন পঞ্চব্যাঞ্জন রাঁধতে ইচ্ছে করে? না কি তাড়াহুড়োর সময় রকমারি রান্নার সময় থাকে? তার চেয়ে বরং একটি পাত্রেই রান্না করে নিতে পারেন এমন খাবার যা একাি একশ। এক পদ মানে কিন্তু পুষ্টির অভাব হলে চলবে না, বরং তাতে প্রোটিন, শর্করা, কার্বোহাইড্রেড ও ফ্যাট সঠিক মাত্রায় থাকা জরুরি। স্বাদ বদলে রেঁধে নিতে পারেন তিন রান্না।
চিকেন পিশ-পাশ (অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পদ, ঠাকুরবাড়ির পদ হিসাবেও বিখ্যাত)
উপকরণ
৫০ গ্রাম মাখন
২ চা-চামচ সাদা তেল
২ চা-চামচ রসুন কুচি
১ চা-চামচ আদা কুচি
২টি লবঙ্গ
২টি ছোট এলাচ
২টি তেজপাতা
৪-৫টি আধ ভাঙা গোল মরিচ
৩০০ গ্রাম মুরগির মাংস
২৫০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল
১টি টুকরো করা আলু
১ টি গাজরের টুকরো
৪-৫টি বিন্সের টুকরো
১টি বড় পেঁয়াজ বড় করে কাটা
১ কাপ দুধ
স্বাদমতো নুন ও চিনি
প্রণালী
চিকেন পিশ-পাশ। ছবি: সংগৃহীত।
যেহেতু এটা ‘ওয়ান পট মিল’ তাই প্রেসার কুকারেই রান্নাটি করে নিতে পারেন। প্রেসার কুকারে ২ চামচ সাদা তেল ও ৪০ গ্রাম মাখন গরম করে নিন। তাতে দিয়ে দিন রসুন কুচি, গোটা গরম মশলা ও গোল মরিচ। তারপর ধুয়ে রাখা মুরগির মাংস দিয়ে সাঁতলে নিন। মাংস কিছুটা হয়ে এলে একে একে দিয়ে দিন আলু, গাজর, বিন্স ও পেয়াঁজের টুকরো। যোগ করুন স্বাদ মতো নুন। ভাল করে মাংস ও সব্জি নাড়িয়ে-চাড়িয়ে দিয়ে দিন ধুয়ে রাখা গোবিন্দ ভোগ চাল। বেশ কিছুক্ষণ সাঁতলে দিয়ে দিন অর্ধেক কাপ দুধ ও চালের দ্বিগুণ পরিমাণ জল। প্রেসার কুকারে মিনিট ১৫-২০ রেখে নামিয়ে নিন। এই রান্নাটি কিন্তু পোলাওয়ের মতো ঝরা ঝরা হবে না। বরং চাল, মাংস, সব্জি কিছুটা গলে মিলেমিশে গেলেই এর স্বাদ পাওয়া যাবে। চিকেন পিস প্যাসের উপরে মাখনের টুকরো দিতে ভুলবেন না।
মুরগির মাংসের খিচুড়ি (খিচুড়ি মূলত দক্ষিণ এশিয় পদ। ডাল, ভাত, নুন-মশলা, আনাজ একসঙ্গে সিদ্ধ বানানো। তার মধ্যে আমিষ মাংসের মিশ্রণ এলকাভিত্তিক)
উপকরণ
মুরগির মাংসের খিচুড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
২ কাপ সাধারণ চাল
১ কাপ মুসুরির ডাল
৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
২টি লবঙ্গ
স্বাদ মতো নুন
স্বাদ মতো মিষ্টি
১ টুকরো দারচিনি
৩-৪টে গোল মরিচ
২টি তেজপাতা
৪টি শুকনো লঙ্কা
৪-৫টি কাঁচা লঙ্কা
১ চা-চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
১ চ-চামচ হলুদ
১ চা-চামচ জিরে গুঁড়ো
১ চা-চামচ ধনে গুঁড়ো
২টি পেঁয়াজ কুচি
৬-৭ কোয়া রসুন বাটা
১ ইঞ্চি আদা বাটা
১ টি টুকরো করে কাটা টম্যাটো
১ চা-চামচ ঘি
৩-৪ চামচ সরষের তেল
প্রণালী
কড়াইতে তেল গরম হলে গোটা গরম মশলা ও তেজ পাতা ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ কুচি ভেজে দিয়ে দিন আদা ও রসুন বাটা, টম্যাটো দিয়ে ভাল করে সাঁতলে দিন মাংসের টুকরো। স্বাদ মতো নুন, হলুদ ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিন। দিন ধনে ও জিরেগুঁড়ো। মাংস থেকে ভাল ভাবে জল ছেড়ে গেলে ধুয়ে রাখা চাল-ডাল দিয়ে মিনিট পাঁচেক নাড়িয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। মাংসের গরম খিচুড়ির উপর থেকে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন।
জাম্বালায়া (আমেরিকার লুসিয়ানা প্রদেশের পদ)
১ চা-চামচ পাপরিকা গুঁড়ো
৫-৬ কোয়া রসুন কুচি
২৫০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগির মাংসের টুকরো
৪ টি সসেজ
১০০-১৫০ গ্রাম মাঝারি আকারের চিংড়ি
২টি মাঝারি টম্যাটো বাটা
৩-৪ চা-চামচ অলিভ অয়েল
২টি টুকরো করা পেঁয়াজ
২ কাপ মুরগির মাংস সেদ্ধ করা জল
২৫০ গ্রাম চাল
স্বাদমতো নুন
প্রণালী
স্বাদ মতো নুন, পাপরিকা গুঁড়ো মিশিয়ে, তা দিয়ে মুরগির মাংস ও চিংড়ি মাছে আধ ঘণ্টা মাখিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে অলিভ অয়েল দিয়ে মাংস, টুকরো করে কাটা সসেজ ও চিংড়ি মাছ একে একে সাঁতলে নিন।
পাত্রে তেল দিয়ে রসুন কুচি হালকা ভেজে নিয়ে দিয়ে দিন পেঁয়াজের টুকরো। একটু ভেজে নিয়ে দিন টম্যাটো বাটা। স্বাদ মতো নুন দিন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে মাছ, মাংস, সসেসেজের টুকরোর সঙ্গে ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে নাড়াচাড়া করে চালের দ্বিগুণ পরিমান মুরগি সেদ্ধ করা জল দিয়ে রান্না করে নিন। রান্নাটা একেবারে ঝরাঝরেও হবে না আবার ভীষণ গলাও নয়। হালকা রসালো হবে।