ছবি: জয়দীপ মুখোপাধ্যায়
রাত দুটো। রানামহল ঘাট থেকে চৌষট্টি ঘাট হয়ে কেদার ঘাট যাওয়ার পথে অন্ধকার গলিতে হঠাৎ জমাট ভিড়। পাশেরই আরও সরু একটা গলি থেকে বেরিয়ে আসে রসভর্তি গামলা। গরম রসগোল্লার খোঁজে হাজির সারা দুনিয়ার ভিখিরি, সাধু, গেরস্ত, মাতাল। একটু দূরে ক্লান্ত চোখে দাঁড়িয়ে দুই আনসারি কারিগর। শাড়ির কাজ করার ফাঁকেই শোলার প্লেটে লম্বা চুমুক। পাশেই গলি আটকে দাঁড়িয়ে বিশ্বনাথের অতিকায় ষাঁড়। গঙ্গা থেকে ভিজে হাওয়া। জেগে থাকে বাঙালিটোলা।
বারাণসী। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো বেঁচে থাকা শহর। ভারতবর্ষের আত্মিক রাজধানী। জৈন, বৌদ্ধ, হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান। শেষ হাজার বছরে জায়গা করে নিয়েছে মুসলিমরাও। গঙ্গার ধারে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পর পর মোট ৮৪টি ঘাটকে বলা যেতে পারে ৩০০০ বছর বয়সি এই শহরের প্রাণকেন্দ্র। সারিবদ্ধ এই ঘাটের ঠিক পেছনেই গঙ্গাকে আঁটসাঁট করে ঘিরে আছে চার কিলোমিটার বাই দেড় কিলোমিটার এলাকা। পোশাকি নাম বাঙালিটোলা।
‘আমাদের দয়া করে প্রবাসী বলবেন না। টেলিভিশন, কাগজ ও বেড়াতে আসা বাঙালিদের দেখেশুনে যা বুঝি, কাশীর মানুষ বাংলাটা কলকাতার থেকে ভাল বলেন। অন্য কোনও ভাষা না জেনেও শুধু বাংলার জোরে কাশীতে দিব্যি বেঁচে থাকা যায়, যা আপনাদের কলকাতাতেও সম্ভব নয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রসারে কাশীর ভূমিকা কতটা, একটু ইতিহাস ঘাঁটলেই বুঝতে পারবেন। যদি বলতেই হয়, বড়জোর ভিনরাজ্যের বাঙালি বলতে পারেন।’ দুর্গাকুণ্ড রোডের বাড়ি থেকে তোপ দাগলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সংস্কৃত পণ্ডিত ৮২ বছরের তরুণ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য।
কয়েক প্রজন্ম ধরে কাশীতে বসবাস। অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকে কাশীতে এসে দেশের বিদ্যাচর্চার অন্যতম এই কেন্দ্র প্রায় ২০০ বছর ধরে শাসন করছে ভট্টাচার্য পরিবার। কোনও প্রসঙ্গে এই পরিবারের কারও নাম উল্লেখ হলে আজও মাথায় হাত ঠেকান সংস্কৃত পণ্ডিতেরা। সংস্কৃতশিক্ষার সেরা সময়টা চলে গেলেও এখনও গুরুপূর্ণিমায় বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের বাড়ির সামনে ভিড় জমে।
বিক্রি হচ্ছে বাপুলিদের বাড়ি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে লখনউ থেকে এসে এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল বাপুলি পরিবার। কেদার ঘাট থেকে কয়েক পা হাঁটলেই নজরে পড়ে একের পর এক গায়ে গা লাগানো প্রাসাদোপম বাড়ি। গলির ওপরে এক মহল থেকে অন্য মহলে যাওয়ার ফুটব্রিজ। অন্ধকার, ক্ষয়ে যাওয়া সিঁড়ি আর বহু গলি পেরিয়ে অবশেষে দেখা মিলল সেই কুঠুরির। লালচে বাল্বের টিমটিমে আলোতে মুখোমুখি দেওয়ালে মক্কার বিশাল ছবি। পাশের দেওয়ালে অজানা শিল্পীর আঁকা লাস্ট সাপার-এর পেন্টিং। আর মেঝেতে: রামকৃষ্ণের খড়ম! শোনা যায়, কাশীবাসের সময় এই বাড়িতেই থাকতেন রামকৃষ্ণ। তিনি নাকি গান-বাজনা-ধর্মচর্চার আসর বসিয়ে চমকে দিয়েছিলেন কাশীকে। ইতিহাস, অজস্র মিথ, মুখে মুখে চলে আসা কথা-উপকথা, সবাই মিলে তৈরি করেছে বাঙালিটোলার আশ্চর্য মানচিত্র। কিংবদন্তি হল, নাটোরের রানি ভবানী ৩৬০ জন ব্রাহ্মণের প্রত্যেককে একখানা বাড়ি ও এক হাজার টাকা দান করেন। এই ভাবেই স্থাপিত হয় বাঙালিটোলা। আবার অনেকে বলেন, কক্ষনও বাঙালি ব্রাহ্মণরা রাজি হননি দান নিতে!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে কাশীতে বাঙালির সংখ্যা ছিল এক লক্ষ। বিশ্বযুদ্ধের পর সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় চার লক্ষে। ১৯৮৯ সালে তা আবার কমে গিয়ে দাঁড়ায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজারে। এই মুহূর্তে বারাণসীতে বাঙালির সংখ্যা এক লক্ষের কাছাকাছি। তার প্রভাব পড়ে স্থানীয় নির্বাচনেও। দক্ষিণ বারাণসী আসনে টানা সাতটি বিধানসভা নির্বাচন জিতেছেন শ্যামদেব রায়চৌধুরী। তুমুল জনপ্রিয় এই মানুষটিকে এলাকার বাসিন্দারা চেনেন দাদা নামেই। বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট আসনেও গত বিধানসভা আসনে জিতেছেন আর এক বাঙালি, জ্যোৎস্না শ্রীবাস্তব।
বাঙালিটোলার অলিগলি থেকেই উঠে এল পুরোপুরি হারিয়ে যাওয়া এক বাঙালির গল্প। খিদিরপুরের ভূকৈলাস রাজবাড়ির মহারাজা বাহাদুর জয়নারায়ণ ঘোষাল। ১৫ বছর বয়সেই বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি, ফারসি আর ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। চাকরি করতেন বাংলার নবাব নাজিম মোবারকউদ্দৌলার দরবারে। পরে সে চাকরি ছেড়ে কলকাতা, যশোর ও ঢাকায় দক্ষতার সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব সামলান। সেই কাজের স্বীকৃতি দিতেই লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস, দিল্লির বাদশার কাছ থেকে তাঁকে এনে দেন ‘মহারাজা বাহাদুর’ উপাধি ও তিন হাজার মনসবদারির সনদ।
১৭৯১ সালে অসুস্থতার জন্য কাশীবাসী হন জয়নারায়ণ। সংস্কৃত, বাংলা আর ফারসির পাশাপাশি দেশের মানুষের ইংরেজি শেখা দরকার, তা উপলব্ধি করে, ১৮১৪-য় কাশীর গরুড়েশ্বর মহল্লায় নিজের বাড়িতে তৈরি করেন উপমহাদেশের প্রথম ইংরেজি বিদ্যালয়। পড়ানো হত ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, সংস্কৃত, ফারসি, পাটিগণিত, ইতিহাস ও ভূগোল। বিদ্যালয় পরিচালনার ভার দিয়েছিলেন নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জি হুইটনি’র ওপর।
পরে ১৮১৭ সালে তৈরি করেন চুনা পাথরে তৈরি চারতলা বাড়ি। অবৈতনিক এই স্কুলে তখনকার দিনেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছিল। হিন্দু কলেজ তৈরির সময়ও এই বাড়ি থেকে সাহায্য পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতায়। ২০,০০০ টাকা দান করেছিলেন জয়নারায়ণের ছেলে কালীশঙ্কর ঘোষাল।
জয়নারায়ণ লিখেছেন একের পর এক বই। ১০০ অধ্যায়ের কাশীখণ্ড, শঙ্করী সংগীত, জয়নারায়ণ কল্পদ্রুম, করুণানিধান বিলাস, ব্রাহ্মণার্চন চন্দ্রিকা। পাশাপাশি মহাভারতের হিন্দি অনুবাদে সাহায্য করেন কাশীর রাজাকে। দুর্গাকুণ্ড রোডের ওপরই আছে জয়নারায়ণ ঘোষালের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি অনন্য স্থাপত্য ‘গুরুধাম’। ভেঙে পড়া এই মন্দিরের আট দিকে আটটি দরজা। প্রতিটি দরজা এক একটি মোক্ষদায়িনী শহরকে নির্দেশ করে। কিছু দিন আগেই স্থানীয় মানুষের তদবির ও তৎপরতায় এই ভগ্নস্তূপের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া।
নামেই বাঙালিটোলা। আসলে একটা ছোট্ট পৃথিবী। কোনও গলিতে লুকিয়ে আছে জার্মান পাড়া, কোথাও আবার ইহুদিদের মহল্লা, কোনও গলিতে দেখা মেলে এক ঝাঁক জাপানি সংগীতজ্ঞের— যাঁরা শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিচ্ছেন। রাস্তার ওপরই মোয়া-মুড়কি নিয়ে বসে থাকেন বিধবা মাসি। তার পর ফুচকার দোকান পেরোলেই ভেসে আসে বিদেশি খাবারের গন্ধ। পিৎজা, রাশিয়ান স্যালাড, বেক্ড টুনা, সুশি, কোরিয়ান নুড্ল্স, ইজরায়েলি হুমুস।
মদনপুরার দিকে আবার আনসারি কারিগরদের ভিড়। দিনরাত এক করে চলেছে সুতো, জরি, বেনারসি শাড়ি তৈরির কাজ। মাঝেমধ্যে রাস্তার ওপরই দশাসই চেহারার যাদব গোয়ালাদের আস্তানা। চারিদিকে হাট্টাকাট্টা কালো মোষের দল। বারাণসীর বিখ্যাত লস্যি ও রাবড়ির সাপ্লাই লাইন। শ্যামাচরণ লাহিড়ী স্ট্রিট, চারুচন্দ্র মিত্র লেন, কাশীনাথ বিশ্বাস রোড। রাতভর ভিড়। দশাশ্বমেধ, প্রয়াগ, মানসরোবর, লালি, পঞ্চকোট, মনিকর্ণিকা ঘাট। অবিরাম পুণ্যার্থী, শ্মশানবন্ধু, পর্যটক, ফোটোগ্রাফার, শিক্ষার্থী। এ সবের মধ্যেই হঠাৎ করে খুপরি জানালার ফাঁক দিয়ে ভেসে আসেন রবীন্দ্রনাথ।
বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিতদের দাপটের কথা ছেড়ে দিলেও, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন যদুনাথ সরকার, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন থেকে নেওয়া হয়েছে বাংলা ক্লাস। ভারত কলা ভবনের আজীবন সাম্মানিক সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রমথ চৌধুরীর বইয়ের সংগ্রহ এখন আছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই। দশাশ্বমেধ ঘাটে বাঙালির থিয়েটারচর্চা এক সময় রীতিমত আলোড়ন তুলেছিল মহল্লায় মহল্লায়। কুস্তির আখড়ায় যাদব কুস্তিগীরদের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে পাল্লা দিতেন বাঙালিরাও। নিত্যানন্দ ভট্টাচার্যের হেল্থ ইমপ্রুভিং অ্যাসোসিয়েশনের দৌলতে শরীরচর্চার আধুনিক বিষয়গুলো জানতে শুরু করে এ শহর।
সেই আধিপত্য না থাকলেও এখনও বারাণসীর আসল উৎসব দুর্গাপুজোই। এই মুহূর্তে এই শহরে তিনশোরও বেশি দুর্গাপুজো হয়। অনেক পুজোর আয়োজকই অবাঙালি। কলকাতার মতোই দুর্গাপুজো এখানে ভেঙে দিয়েছে প্রাদেশিকতা ও ধর্মের বেড়াজাল। নিয়মকানুন অনেক বদলে দেওয়ায় কারও মনে ক্ষোভ থাকলেও পুজোর জৌলুস চাক্ষুষ করতে সারা পৃথিবীর মানুষ ঢুঁ মারেন বাঙালিটোলায়।
কোন পথে এগোবে ভারতের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থা? দশাশ্বমেধ ঘাটে তুমুল তর্কে বসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র। টানা কয়েকদিন বিতর্কের পর হার মেনেছিলেন আধুনিক হিন্দির অন্যতম রূপকার ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র। সাফ জানিয়েছিলেন, বাংলা ভাষাকে মডেল করেই এগোবে হিন্দি। এর পরই শুরু হয় আধুনিক শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে হিন্দি ভাষাকে ব্যবহার করতে ভারতেন্দুর লড়াই। সংস্কৃত ছেড়ে হিন্দিকে শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার পিছনে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অবশ্য আজ অনেকেই ভুলে গিয়েছেন।
ভুলে যাওয়ার তালিকায় আছেন ‘বঙ্গমহিলা’-ও। ১৯০৭ থেকে ১৯১৫। এই সময়টায় একের পর এক গল্প-উপন্যাস ‘বঙ্গমহিলা’ (বা ‘বঙ্গললনা’) নামে লিখে গিয়েছেন এক রহস্যময় সাহিত্যিক। সব কিছুই হিন্দিতে। আসল নামটুকু শুধু জানা যায়। রাজেন্দ্রবালা ঘোষ। অনেকের মতে, তাঁর লেখা ‘দুলাহি বালি’ গল্পটি আধুনিক হিন্দিতে লেখা প্রথম ছোট গল্প। সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ অবশ্য এখনও অটুট বারাণসীর বাঙালিদের মধ্যে। গোধূলিয়া মোড়ের কাছে জঙ্গমবাড়ি এলাকায় বঙ্গীয় সাহিত্য সমাজের লাইব্রেরিতে এখনও ভিড় জমে সন্ধে নামলেই। প্রাচীন পুঁথি থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলা সাহিত্য, চাহিদা সব ধরনের বইয়েরই। কোনও ব্যবহারিক দরকার না থাকলেও বাঙালিটোলা ইন্টার কলেজ, অ্যাংলো বেঙ্গলি ইন্টার কলেজে এখনও বাংলা শিখতে ভিড় জমান অবাঙালিরাও। নিখিল ভারত বাংলা ভাষার পরীক্ষায় বাঙালিদের থেকে অবাঙালিদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি, যার অনেকটাই কাশীর অবদান।
বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র শহর বারাণসী, যেখানে মহরমেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় নামেন। এক সময় সম্পন্ন বাঙালি বিয়েবাড়ির নহবতখানায় সানাই বাজিয়ে পেট চালাতেন বিসমিল্লা। বিয়ে-সানাই-বিসমিল্লা: বাঙালি বিয়ের এই অদ্ভুত বিশেষত্ব তৈরি হতে শুরু করে তখন থেকেই। একই সময় তিলভাণ্ডেশ্বরে বারাণসীর রাজার প্রাইভেট সেক্রেটারি রমেশ দে-র পরিবারে সেতারের পাঠ নিতে শুরু করেছেন রবিশঙ্কর। পরে পারিবারিক কারণে তিনি বারাণসী ছাড়তে বাধ্য হলেও ভোলেননি বাঙালিটোলাকে। অন্য দিকে, বিসমিল্লা প্রত্যাখ্যান করেছেন সারা পৃথিবীর ডাক। গঙ্গামাইয়া আর নিজের মহল্লা, গলি, পড়শি ছাড়া অন্য কোথাও থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, সাফ জানিয়েছিলেন বিসমিল্লা। ধর্ম আর শাসনের বেড়াজাল ভেঙে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের চাতালে পুজোর সময় রোজ সানাই নিয়ে খেলায় মাততেন এই উস্তাদ।
আজ সন্ধে নামলে সানাইয়ের করুণ সুর আর বাঙালিটোলার এ-গলি সে-গলি ঘুরে বেড়ায় না। বয়স বাড়ছে বাঙালিটোলার। জমিদারির পয়সা নেই। ব্যবসার রমরমা নেই। পুরনো পণ্ডিতরা নেই। বিক্রি হচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ক্ষয়ে যাচ্ছে ইট, ধসে পড়ছে দেওয়াল। সময়ের সঙ্গে দ্রুত বাড়ছে কলকাতা আর বারাণসীর দূরত্ব। বাঙালির কাছে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে কাশী। হয়তো সেই কারণেই, আরও জোরের সঙ্গে, হীনম্মন্যতার ছোঁয়া বাঁচিয়ে গর্বের সঙ্গে টিকে থাকা দরকার বাঙালিটোলার।
parunava@gmail.com